এইচএম নাসির উদ্দিন আকাশ, ঝালকাঠি : ঝালকাঠির রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সংযোগ সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাজারো খানাখন্দের কারনে ঈদে ঘরমুখো মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রায় ৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটির কয়েকটি ব্রীজও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে এ সড়টি দিয়ে যাত্রীবাহি বাসসহ সকল প্রকার যান বাহন চলাচল করে। বর্তমানে উপজেলার পুটিয়াখালি বাজার এলাকায়, তুলাতলা এলাকায়, গাজিরহাট এলাকায়, আঙ্গারিয়া এলাকায়সহ দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হাজারো ছোট-বড় খানাখন্দ রয়েছে। উপজেলার আঙ্গারিয়া গ্রামের তালুকদার বাড়ি এলাকায় ২ বছর আগে ব্রীজ নির্মান হলেও উভয় পাশের সংযোগ সড়কে সঠিকভাবে কাজ না করে উভয় পাশে নামমাত্র মাটি ও ইট দেয়া হয়েছে। ফলে উভয় পাশে উচুঁনিচু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যাতে বর্ষার দিনে কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল হয়ে বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে। যাত্রীরা জানান, খানাখন্দের কারনে গাড়ির ভেতরে যাতায়াত করার সময় ঝাকুনীতে শরীর ব্যাথা হয়ে যায়। তা ছাড়া ভয়েও থাকি কোন দুর্ঘটনায় পড়ি কিনা। একাধিক চালকরা জানান, সড়কের বড় বড় গর্তের কারনে হেলেদুলে আস্তে আস্তে গাড়ি চালাতে হয়। এতে অনেক সময়ের অপচয় হয়। সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌছতে পারি না। এ ছাড়া গাড়িরও নানা রকম যান্ত্রিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া এ সড়টিতে অনেক বাজার, হাট ও সড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্ষার দিনে ওই সব ব্যবসায়ীদের ও সাধারণ মানুষের নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদের নির্বাহি প্রকৌশলী আলমগীর বাদশা জানান, সড়টিতে সামান্য কিছু খানাখন্দের সমস্যা রয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে সড়কটি সংস্কার করা হবে।
রাজাপুরের রামবাদক স্কুলের প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত, প্রতিবাদে সমাবেশ-স্মারক লিপি পেশ

ঝালকাঠির রাজাপুরের তারাবুনিয়া রামাদক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীরেন চন্দ্র দাশকে ওই বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মাখন লাল দেবনাথ কর্তৃক অপমান-লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে গতকাল বৃস্পতিবার বিকেলে উপজেলা চত্ত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও ইউএনও বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এতে বক্তব্য রাখেন সুষেন হাওলাতার, জসিম হাওলাদার, সন্তোষ কুমার মন্ডল, স্বপন কুমার বড়াল, বাবুল চন্দ্র সমদ্দর, মনিচান চক্রবর্তী, বলরাম দাশ, আকাশ ডাকুয়া, প্রদীব ও সজীব প্রমুখ। বক্তারা সহকারি প্রধান শিক্ষকের কঠিন বিচার দাবি করে বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছে। বিদ্যালয়টি ধ্বংস করার জন্য তিনি ও তার পরিবার এ পর্যন্ত ২৭টি মামলা করেছেন। তাছাড়া তিনি সঠিকভাবে স্কুলে আসেন না ও ক্লাস করান না।
