ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : ভাণ্ডারিয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মুহুর্তের মধ্যেই তলিয়ে যায় উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র্রের আশপাশ, চলাচলের রাস্তাসহ পার্শবর্তী এলাকা। আর এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দুর-দুরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পথঘাটসহ আশপাশ পানিতে তলিয়ে আছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চলাচলের রাস্তাটি পানিতে ডুবে থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা নারী-শিশুসহ একাধিক রোগী ফিরে যাচ্ছেন চিকিৎসা না নিয়ে। দেখাগেছে, কেন্দ্রটির সামনে একটি পরিত্যাক্ত পুকুরে ভাণ্ডারিয়া বন্দর ব্যবসায়ীসহ বাসা বাড়ীর বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। উক্ত ময়লা আবর্জনা বর্ষার পানিতে ভেসে স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে দূগন্ধ সেই সাথে পানি নিস্কাসনের পথ বাঁধাগ্রস্থ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে কেন্দ্রটির একদিকে যেমন জলাবদ্ধতা অপরদিকে স্বাস্থ্য সেবা ও পরিবেশের জন্য মারাত্বক হুমকির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। ফলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আজ নিজেই রোগী হয়ে পড়ছে। স্থানীয়সহ ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতি বর্ষার মৌসুমেই এমন অবস্থার সম্মুখিন হচ্ছি আমরা তবে এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির আশপাশের নিচু স্থানগুলো মাটি ফেলে উচু করে নতুন রাস্তা ও ড্রেন তৈরী করলে এ থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব। এ ব্যাপারে অত্র উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র্রের ডাঃ শাহাদত হোসেন সাগর জানান, রোগিরা এ অব্স্থা দেখে চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যাচ্ছে, আবার কেউ কেউ বাদ্য হয়ে পচাঁ পানিতে বিঝে আসতে হচ্ছে, তাই সকলের এখন প্রানের দাবি অতিদ্রুত এ সমস্যা সমাধান করা। ভাণ্ডারিয়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন হাজরা’র সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
ভাণ্ডারিয়ায় অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে

ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় সরকার ঘোষিত অবৈধ কারেন্ট জাল বন্দরের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। ভাণ্ডারিয়ার সুতার দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাইকার, জেলেসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ মাছ শিকারের জন্য এসব অবৈধ কারেন্ট জাল ক্রয় করছে। ফলে মৌসুমি জাতীয় সর্বপ্রকার পোনা ও মা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বেড়ে উঠার আগেই আটকা পড়ে যাচ্ছে। এ কারনে এসব অঞ্চলে মাছের তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের ধারনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকাশ্যে কারেন্ট জাল,নেট জাল,মসারী জাল, বিক্রিতে স্থানীয় স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষের কোন অভিযান পরিচালনা না করায় এর আমদানি, মজুদ ও বিক্রি দিন দিন বেড়েই চলছে। এ জাল প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছে এর ব্যবহারও বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে মাছ বৃদ্ধির। সূত্র জানায়, অধীক মুনফার প্রলোভনে এ বন্দরের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সুতার দোকানের আড়ালে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকরে প্রকাশ্যে স্যাম্পোল (নমূনা) স্বল্প পরিমান রেখে ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী গোপন গোডাউন থেকে এনে অবৈধ জাল দেদারসে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। আরো জানা যায়
এসকল অবৈধ জাল বিক্রি বিষয়ে একাধীক ব্যবসায়ীরা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
প্রকাশ্যে অবৈধ কারেন্ট জাল বাজারজাত বিষয়ে উপজেলা মৎস অফিসার অনিল চন্দ্র দাস জানান, এ বিষয়ে জানা নেই তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলাপ করে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করবো।
