উত্তম কুমার পাল, নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) : নবীগঞ্জ উপজেলার আমড়াখাই গ্রামের দুদল ‘লোকের মাঝে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়েছে। ৪ ঘন্টাব্যাপী স্থায়ী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ বন্দুকের গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ পুলিশ ঘটনাস্থ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে এলাকায় এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সাধারন মানুষ দিকবেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে গুলি বৃদ্ধসহ গুরুতর আহত ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। অপর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, উপজেলার বড় ভাকৈর ( পশ্চিম ) ইউনিয়নের আমড়াখাই গ্রামের জয়নাল আবেদীন মেম্বার ও দুলাল আহমদ দুলা’র মাঝে প্রায় মাস খানেক আগে স্থানীয় বাজারে দোকান ঘরের সীমানা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে উভয় পক্ষে মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মাঝে গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা দেখা দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক পক্ষ অপর পক্ষকে হাকডাক শুরু করলে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকের গুলাগুলি ও করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ সময় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। সংর্ঘষ চলাকালে রাস্তার উভয় পাশে যাত্রীবাহি বাস আটকা পড়ায় যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকান পাঠ ভাংচুর করা হয়েছে। সংর্ঘষে গুলিবৃদ্ধ গুরুতর আহত শাহিল মিয়া (৩৫), আব্দুর রহমান (৪০), মোছা মিয়া (৩৫), লইলুছ মিয়া (৩০), ইছা মিয়া (৩০), দিলাল মিয়া (২৫), মিজান উদ্দিন (৪৫), আলীফ উদ্দিন (৫০), সজলু মিয়া (২৬), মাহমুদ মিয়া (২০), হাসমত আলী (৫৫), মাসুক মিয়া (৩৫), তওফিক মিয়া (২২), রমজান উদ্দিন (৩০), আফজল হোসেন (৩৫), রুহুল আমীন (২০), তাজুল ইসলাম (২০), আঙ্গুর মিয়া (১৮), মোস্তফা মিয়া (৩৫), আমীর উদ্দিন (৬০) ও সাজ্জাদ মিয়া (৪১) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরন এবং অপর গুরুতর আহতদের নবীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
