মোঃ ফারুক হোসেন,ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,মায়ের যত্ন সবার আগে প্রয়োজন।একটি শিশুর জন্য
মায়ের দুধে বিকল্প নেই ঠিক তেমনি সে মাকে তার যথাযথ যত্ন নিতে হবে।আজ দুপুরে রাজধানীর ওস মানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃ দুগ্ধ সপ্তাহ’২০১৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক চিকিৎসা ব্যব স্থার মধ্যেই শিশুস্বাস্থ্যের বিষয়টি নিহিত রয়েছে। গত পাঁচ বছরে দেশে র চিকিৎসা ব্যবস্থার আমূল পরিব র্তন সাধিত হয়েছে। শুধু শহর নয়, গ্রামীণ দরিদ্র মানুষ যাতে সহজে চিকিৎসা সুবিধা পান, আমরা সে ব্যবস্থা করেছি। তিনি জানান,প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য কমপক্ষে একজন করে মোট ১৩ হাজার ২৫০ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভা ইডার নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় ২৯ ধরনের ওষুধ নিয়মিত সরবরাহ করা হচ্ছে। গত ৫ বছরে বিসিএস পরীক্ষা র মাধ্যমে ২ হাজার ৪৪০ জন সহ কারী সার্জন এবং ১৯৬ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এডহক ভিত্তিতে ৪ হাজার ১৩৩ জন সহকারী সার্জন নিয়োগ করা হয়েছে। ৬৪টি জেলায় ৬ হাজার ৩৯১ জন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ করা হয়েছে। ৪র্থ শ্রেণীর বিভিন্ন পদে ২ হাজার ৯৮৯ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ১ হাজার ৭৮৭ জন কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে ১টি করে শিশু হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালে এক টি করে শিশু হাসপাতাল স্থাপনের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৫ বছরে ৬ মাসের কম বয়সী শিশু দের শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার ৪৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৬৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রচারণা ও সচেতনতার কারণেই এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, গত মেয়াদে ২০০৯ সালে আমি মাতৃ দুগ্ধ সপ্তাহ সরকারিভাবে পালনের নির্দেশ দিয়ে ছিলাম। ২০১০ সাল থেকে এ দিবসটি সরকারি ভাবে পালিত হয়ে আসছে। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী জন্ম থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত পৃথিবীর সকল শিশুকে শুধু মাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো হলে বছরে ১৫ লাখেরও বেশি শিশুর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব। তিনি বলেন, আমাদের দেশে বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার গুড়ো দুধ আমদানি করতে হয়। এর বেশির ভাগই শিশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমরা যদি শতভাগ শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে পারি, এবিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যেই নবজাত কের স্বাস্থ্য কৌশলপত্র অনুমোদন দিয়েছি। জাতীয় পুষ্টিনীতি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটি সবেতনে ৬ মাসে উন্নীতকরেছি। দেশের সকল হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে জাতীয় পুষ্টি সেবার মাধ্যমে শিশুবান্ধব হাসপাতাল হিসা বে পুনঃশক্তিশালী করার লক্ষ্যে ২০৭ টি হাসপাতালে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে।
