ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন হত্যা মামলার তিন আসামী অস্ত্র ও গুলি সহ গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে হরিণাকুন্ড উপজেলার পেশীনগর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও দুইটি ধারালো রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, হরিণাকুন্ডর পার দখলপুর গ্রামের মান্নান চৌধুরীর দুই ছেলে বাপ্পী চৌধুরী (২৭) ও বিপুল চৌধুরী এবং একই গ্রামের মোমিন মন্ডলের ছেলে আক্তারুল (২৬)
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার নিয়াজ মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, হরিণাকুন্ড উপজেলার পেশীনগর গ্রামে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীর অবস্থানের খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ায় চেষ্টা করে। পরে র্যাব সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে অস্ত্র ও গুলি সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হরিণাকুন্ডু উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন হত্যা মামলার আসামী। দীর্ঘদিন ধরে তারা এলাকায় অপহরণ, হত্যা, চাঁদাবাজি, ডাকাতি সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছিল বলে র্যাব জানায়। এ ঘটনায় হরিণাকুন্ডু থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৪, বাড়িঘর ভাংচুর
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের শৈলকুপা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের শৈলকুপা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার মিনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় উভয়পক্ষের ১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ মাস্টার ও ইউপি সদস্য মোহাম্মদ রঞ্জু গ্রুপের মধ্যে দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। এরই ঘটনার জের ধরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উভয়পক্ষ ঢাল, সড়কি, বল্লম, রামদা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১৪ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় উভয়পক্ষের ১২টি বাড়িঘর।
শৈলকুপা থানার এসআই ইমদাদ হোসেন জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। গ্রামটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।