নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছে। ২ আগস্ট শনিবার বিকেলে উপজেলার পিপুলেশ্বর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছে আব্দুল কাদির (২৬), আব্দুল হামিদ (৩০), আজাহার আলী (২৫), আছিয়া (৬০), হায়দার আলী (৫০), আছাদুল (৩৮), হাতেম আলী (৪২), ওয়াহেদ আলী (২৬), লাল মিয়া (৩৫), হেছাম উদ্দিন (৫৮) ও চাঁন মিয়া (১৯)। এদের ৬ জনকে নালিতাবাড়ী ও ৫ জনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে হাতেম আলী, ওয়াহেদ আলী ও হেছাম উদ্দিন এ ৩ জনের অবস্থা গুরুতর।

জানা যায়, পিপুলেশ্বর গ্রামের লাল মিয়া বেশ কিছুদিন যাবত এলাকায় জুয়ার আসর বসিয়ে আসছিল। এ নিয়ে গত ৫ জুলাই হাতেম আলী ও লাল মিয়ার মধ্যে বাক-বিতন্ডা থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তখন রমযান মাস চলায় পরে এ নিয়ে ২ আগস্ট শনিবার সকালে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করা হলে উভয়পক্ষ সমঝোতায় না পৌছায় বৈঠক মূলতবি করা হয়। এরপর বিকেলে পূণরায় লাল মিয়া ও হাতেম আলী এবং উভয়ের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে লাল মিয়াসহ তার পক্ষের ৩জন ও হাতেম আলীসহ তার পক্ষের ৮ জন আহত হয়।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আমিনুল ইসলাম সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জুয়া খেলা নয়, আগে থেকে তাস খেলা নিয়ে বিরোধ ছিল।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
নালিতাবাড়ীতে ৭ দোকানে দুঃসাহসিক চুরি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের উত্তর বাজারে দুঃসাহসিক চুরি সংগঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার রাতের কোন এক সময় এ চুরি সংগঠিত হয়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় মেসার্স রিপন ট্রেডার্সের আরএফএল এক্সক্লুসিভ শো-রুমের টিনের চাল কেটে শো-রুমে প্রবেশ করে আসবাবপত্র তছনছ করে এবং ক্যাশ হতে প্রায় দেড় হাজার টাকা চুরি করে। একই সময় পার্শ্ববর্তী আরও ৬টি দোকানে প্রবেশ করে মালামাল তছনছ করে এবং ক্যাশ থেকে টাকা চুরি করে চোর।
দোকান মালিকরা জানান, দোকানের ক্যাশে বেশি টাকা না রাখায় চুরির পরিমাণ বেশি না হলেও একসাথে এতগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি ও মালামাল তছনছ করে রাখা দুঃসাহসিক। শহরে রাতে পুলিশি পাহারা থাকার পরও এতোবড় চুরির অপচেষ্টা অবশ্যই দুশ্চিন্তার বিষয়।
সেমাই-চিনি পেয়েই ওরা বেজায় খুশি !

ওদের চাহিদা খুব বেশি নয়। দু-বেলা দু-মোঠো মোটা ভাত, দুটো মোটা কাপড়- এই সামান্য কিছু। কিন্তু এতটুকু যোগানোই তাদের দায়। আবার এদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিক্ষাবৃত্তি করে বেঁচে থাকে। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের সালেহাবাদ (কৃষ্ণপট্টি) গ্রামে এদের বসবাস।
প্রতিবছর ঈদ আসে ঈদ যায়। কেউ মুখ তোলে তাকায়নি তাদের পানে। ফলে গত প্রায় তিন বছর যাবত স্থানীয় কয়েকজন যুবক এলাকার উন্নয়ন ও এসব হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাড়াতে এগিয়ে আসে। ‘সালেহাবাদ উন্নয়ন সংঘ’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন দাড় করায়। এরপর থেকেই স্থানীয় ভাবে জুয়া বন্ধ, রাস্তা-ঘাট মেরামতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি চাপ সৃষ্টি, দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা, পড়ালেখা ও ঈদের আগে সেমাই, চিনি, তেল, সাবানসহ নানা সামগ্রী দিয়ে পাশে থাকাই এদের কাজ। ইতিমধ্যেই এ সংগঠনটি স্থানীয়দের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে। এবারের ঈদেও ব্যত্যয় ঘটেনি এ সংগঠনের কর্মীদের। ঈদের আগের দিন তারা আয়োজন করে শতাধিক দরিদ্রের মাঝে সেমাই-চিনি, তেল-সাবান ইত্যাদি বিতরণ ও ইফতার মাহফিলের। আর এতেই খুব খুশি ওইসব অবহেলিত পরিবারগুলো।
সংগঠনের সভাপতি সোহেল রানা মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, এসব গরীব-অসহায়ের প্রতি আজও কোন জনপ্রতিনিধি মুখ তোলে তাকায়নি। ঈদের সামনে সরকারের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত রয়ে যায়।
