ads

সোমবার , ২৮ জুলাই ২০১৪ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

দেশের শান্তি ও অগ্রগতি প্রতিষ্ঠাই হোক ঈদের দীপ্ত শপথ

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
জুলাই ২৮, ২০১৪ ৩:৪৪ অপরাহ্ণ

Eid-Mubarak-‘রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার মতো মৃন্ময়ীরূপে মাহে রমজান শেষে আমাদের মাঝে সমাগত পবিত্র ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর সমাগত ঈদে মুসলিম বিশ্বে আজ খুশির বন্যা বইছে। শাব্দিক মূল্যায়নে ‘ঈদ’ এর উৎপত্তি আরবি ‘আওদুন’ থেকে, যার অর্থ বার বার ফিরে আসে এমন আনন্দ। আর ‘ফিতর’ শব্দটির উৎপত্তি আরবি ‘ফুতুর’ থেকে- যার অর্থ সকাল বেলার নাস্তা বা মূল্যবান পুরস্কার। মাহে রমজানে আল্লাহর যেসব বান্দা সিয়াম সাধনা করেছে শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখের সকালে তাদের রোজা ভঙ্গ করা এবং ঈদের জামাতে হাজির হওয়াই হলো ইসলামী পরিভাষায় ঈদুল ফিতর।
রমজান সিয়াম সাধনকারীদের জন্য আল্লাহর পুরস্কার হিসেবেই প্রতিবছর আবির্ভূত হয়। যারা রমজানে সিয়াম সাধনা করেছেন, আল্লাহর কাছ থেকে ওই মহিমান্বিত পুরস্কার অর্জন করেছেন, মাহে রমজানের শিক্ষায় নিজেদের আলোকিত করেছেন- মূলত: ঈদুল ফিতরের আনন্দ তাদের জন্যই। ঈদুল ফিতরের সকালে বিশ্বাসী মানুষ ছুটে যান ঈদগাহে। ঈদের নামাজ শেষে তারা একে-অপরের সঙ্গে ঐশী আনন্দে কোলাকুলি করেন। মুমিনদের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি করে ঈদগাহের এই মিলনমেলা। মানুষ আনন্দঘন পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন মনমানসিকতা দিয়ে একে-অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পবিত্র জীবনযাপন করবে আল্লাহ তেমনটিই চান। ঈদুল ফিতর ভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধন সৃষ্টিতে বরাবরই অবদান রাখছে। সে বিবেচনায় এটি এক সার্বজনীন উৎসবও। এই উৎসবে সমাজের ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব বিশ্বাসী মানুষ যাতে অংশ নিতে পারেন, সে জন্য রয়েছে আল্লাহর সুস্পষ্ট বিধান। এ জন্যই ফিতরা আদায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাহে রমজানের মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা মানুষকে যেমন ত্যাগের শিক্ষা দেয়, ঠিক তেমনি ঈদ উৎসবকে ধনী-গরিব নির্বিশেষে আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশীদের মধ্যে ভাগাভাগির তাগিদ দেয়।
এ বছর ঈদুল ফিতর এমন এক সময় আমাদের মাঝে সমাগত হয়েছে, যখন মুসলিম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনে চলছে ইসরাইলের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের মত বাংলাদেশের মানুষ ইসরাইলের ওই বর্বরোচিত হামলায় ফুঁসে উঠলেও আরব বিশ্বসহ যুক্তরাষ্ট্র এখনও অনেকটাই নীরব রয়েছে। কাজেই ফিলিস্তিনের আতঙ্কগ্রস্ত মানুষগুলোর কথা চিন্তা করে ঈদের আনন্দ ম্লান হতে পারে। তবে আশার কথা বাংলাদেশে এবার ঈদ উদযাপিত হতে যাচ্ছে অনেকটাই সানন্দে ও উৎসবমুখর পরিবেশে। নাড়ি আর স্বজনের টানে রাজধানীসহ বড় বড় শহরগুলো থেকে মানুষ ছুটছে নিজ নিজ এলাকায়। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার যাতায়াত ব্যবস্থা তুলনামূলক অনেকটাই ভাল হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকায় কর্র্মমুখী মানুষগুলোর এবার ঈদ কাটাতে কষ্টও কম হবে। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার কেবল দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে ঈদ শুভেচ্ছা সীমাবদ্ধ না রেখে সাধারণ মানুষজনকেও মোবাইল এসএমএস এ শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। এর আনন্দটাও অনেকের কাছেই অতুলনীয়-অফুরনীয়।
এবারের ঈদুল ফিতর সকলের জীবনসহ মাতৃভুমি বাংলাদেশের সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তি বয়ে নিয়ে আসুক। ঈদের আনন্দ কুলাকুলির রেশ নিয়ে আমরা বছরের বাকিটা সময় যেন কাটাতে পারি দেশের অগ্রগতি ও আমাদের ঐক্যের স্বার্থে মিলে-মিশে- এই প্রত্যাশা আমাদের। সকলকে ঈদ মোবারক।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!