ads

বুধবার , ২৩ জুলাই ২০১৪ | ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

দারিদ্র্য জয় কাঁকড়া শিকারে

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
জুলাই ২৩, ২০১৪ ১:৪১ অপরাহ্ণ

AMTALI PIC KAKRAমো. মহসিন মাতুব্বর, আমতলী (বরগুনা) : উপকূলীয় জেলা বরগুনা ও পটুয়াখালীর নদী, খালগুলো থেকে কাঁকড়া শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করছে শত শত পরিবার। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে প্রতিদিন প্রমাণ সাইজের কাঁকড়া ধরে স্থানীয় বাজারগুলোতে বিক্রি করে দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করছে তারা। দুই জেলার শতাধিক আড়তে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ টন কাঁকড়া বেচাকেনা হচ্ছে। আড়তদাররা এ কাঁকড়া নৌ ও স্থলপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চীন ও সিঙ্গাপুরেও রফতানি হচ্ছে এখানকার কাঁকড়া। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগরসহ আন্ধারমানিক, শিববাড়িয়া, সোনাতলা প্রভৃতি নদী এলাকা, বরগুনার আমতলী ও তালতলীর সাগর সংলগ্ন এলাকা, পায়রা, কচুপাত্রা, নিশানবাড়িয়া, পাথরঘাটার বিষখালী নদীসহ বিভিন্ন খালে শত শত জেলে চাঁই পেতে কিংবা টং পদ্ধতিতে কাঁকড়া শিকার করছেন। শিকারিদের মধ্যে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও রয়েছে। প্রতি বছর কমপক্ষে ১০০ টনের অধিক কাঁকড়া শিকার করা হচ্ছে বলে জেলে ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে। আমতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, এ উপকূলে ‘ফাইলা অলভিসিয়া’ প্রজাতির কাঁকড়াই বেশি শিকার হচ্ছে।এক সময় দু’একটি সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যে কাঁকড়া খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। বর্তমানে সব সম্প্রদায়ের মানুষই কাঁকড়াকে প্রিয় খাবারের তালিকায় রেখেছেন। তাই স্থানীয় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জেলে-শিকারিরা বাজারে বিক্রির চেয়ে কাঁকড়া আড়তে বেশি বিক্রি করছেন। আকার ভেদে প্রমাণ সাইজের কাঁকড়ার দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে। ৫০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম (ডবল এঙ্লে) ওজনের পুরুষ কাঁকড়ার কেজি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। ১৮০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম ওজনের (এফ-ওয়ান) স্ত্রী কাঁকড়া কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়।
এছাড়া বর্ষা মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে কাঁকড়া পোনাও ধরা পড়ছে। এগুলো খাবার হিসেবে বেশ সুস্বাদু হওয়ায় স্থানীয়ভাবে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান আমতলী শহরের ক্রেতা বিমল দাস, পরিতোষ রায়সহ অনেকেই।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রমাণ সাইজের কাঁকড়া ঢাকা, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন আড়তে চালান করেন বলে আমতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়ার আড়তদার ও কাঁকড়া চাষি মনির জানান। তিনি জানান, এক সময় শুধু কাঁকড়া চাষিরা জেলেদের কাছ থেকে মা কাঁকড়া ও পোনা কাঁকড়া সংগ্রহ করতেন। স্থানীয় বাজারগুলোতে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য অল্প পরিমাণ কাঁকড়া স্থানীয় বাজারে আসত। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, ভালো দাম ও সহজলভ্যতার কারণে কাঁকড়া শিকারের প্রতি ঝুঁকছেন স্থানীয়রা। পাথরঘাটা এলাকার কাঁকড়া চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, এসব কাঁকড়া বর্তমানে চীন ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হচ্ছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!