মেহের আমজাদ ,মেহেরপুর : মেয়াদ উত্তীর্ন স্যালাইন রাখা এবং রোগীর শরীরে পুশ করার অভিযোগে মেহেরপুর শহরের কলেজ রোডের দারুস সালাম ক্লিনিকের মালিক ও ম্যানেজারের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত । ২০ জুলাই রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমীনুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ঐ জরিমানা করেন।

ভ্রামম্যন আদালত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার সময় মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ছানোয়ারা খাতুন (৬০) অসুস্থ হয়ে দারুস সালাম ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ক্লিনিকে কর্তব্যরত নার্স ফেরদৌসী খাতুন জোøা চিকিৎসকের পরামর্শে রোগীর শরীরে স্যালাইন পুশ করেন। কিন্তু রোগীর স্বজনেরা লক্ষ্য করে দেখেন স্যালাইনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। ক্ষুব্ধ স্বজনেরা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। মেহেরপুর সদর থানার এস আই আব্দুল হক ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পেয়ে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবগত করায়। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এনডিসি আমিনুল ইসলাম সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। ক্লিনিকের মালিক মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের কনসালটেন্ট ডাঃ আব্দুস সালামকে ২০ হাজার এবং ক্লিনিকের ম্যানেজার মাহবুবুল হাসান শিমুলকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় ক্লিনিক থেকে মেয়াদ উর্ত্তীণ ৩৭ র্টি ডিএনএস স্যালইন, সেফা-৪ নামের ৫ প্যাকেট ইঞ্জেকশন ও এলজিরেক্স ৯০ নামের ২প্যাকেট ট্যাবলেট জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমীনুল ইসলাম জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনের ৫১ ও ৫২ ধারায় মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন রাখা ও পুশ করার দায়ে ক্লিনিক মালিক ডা. আব্দুস সালামের ২০ হাজার টাকা ও ম্যানেজার মাহবুবুল হাসান শিমুলের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদান্ড দেয়া হয়েছে।
ম্যানেজার শিমুল জানান, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন ও ওষুধ ফেরত দেয়ার জন্য ষ্টোরে আলাদা করে রাখা ছিল। নার্সে ভুল করে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন রোগীর শরীরে পুশ করেছে।
