খোরশেদ আলম, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) : শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের সরকারী বনাঞ্চলে বৃক্ষ লুটপাটের মহোত্সব চলছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বৃক্ষ নিধনকারীরা বৃক্ষ লুটপাটে মেতে উঠেছে। অভিনব কৌশলে প্রতিদিনি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। গারো পাহাড়ে কর্মরত এক শ্রেণীর অসাধু বন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব বৃক্ষ লুটপাটের ঘটনার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগে প্রকাশ, সংরক্ষিত বনের মূল্যবান কাঠ বন কর্মচারীরা কেটে এনে প্রথমে অফিসে সংরক্ষণ করছে। পরে সুযোগ বুঝে নিলামের কাঠের অজুহাতে অভিনব কৌশলে ট্রাক, ট্রলি ও ভ্যানগাড়ীযোগে অফিস থেকে এসব কাঠ অবাধে পাচার করা হচ্ছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, গারো পাহাড়ের মূল্যবান কাঠ কাটার পর শ্রমিক দিয়ে গাছের গুড়িগুলো উপড়ে ফেলা হচ্ছে। যাতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তদন্তে এসে কোন আলামত খুজে না পান। বর্তমানে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বন কর্মচারীরা বৃক্ষ লুটপাটে মেতে উঠেছে। গত ১৪ জুলাই রাতে রাংটিয়া ফরেস্ট বিট অফিস থেকে ট্রাকযোগে শাল, গজারী কাঠ পাচার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে ওই এক ট্রাক কাঠ পাচারের বিষয়টি শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক জিএম রফিককে জানানো হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে কাঠ পাচারের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। বন মামলার ভয়ে এসব বৃক্ষ লুটপাটের বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস পায় না। স্থানীয় জনৈক দুদু মল্লিক, সাইদুল ইসলাম, হযরত আলী, মোঃ জানেব আলী, মোঃ ইউনুস আলী, মোঃ সাইদুল ইসলাম, জমশেদ আলীসহ অনেকেই জানান, একই পদ্ধতিতে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা মূল্যের বৃক্ষ নিধন করে আসছে বন কর্মচারীরা। গত এক সপ্তাহে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বৃক্ষ নিধন করা হয়েছে। এসব বৃক্ষ লুটপাটের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। ফলে গারো পাহাড় থেকে বৃক্ষ লুটপাট বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাপারে সহকারী বন সংরক্ষক জিএম রফিক এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কাজের ব্যস্ত দেখিয়ে পাশ কাটিয়ে যান।
