রাজশাহী প্রতিনিধি : দীর্ঘ নয় বছর অপেক্ষার পর কাউন্সিল আয়োজনের ঘোষণায় চাঞ্চল্য এসে ছিলো রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগে। কেন্দ্র থেকে আগামী ১৯ জুলাই কাউন্সিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন্দ্র আগের নির্ধারিত তারিখ স্থগিত করেছে।ফলে থমকে গেছে প্রতিক্ষিত কাউন্সিল আয়োজন। রোজার কারণ দেখিয়ে এ কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে বলে রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন। তবে পরবর্তী দিন ধার্য না হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা।নেতা-কর্মীরা বলছেন, কয়েক দিন আগে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় দলের কাউন্সিল পিছানোর ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই সিদ্ধান্তের কপি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এরই আলোকে কেন্দ্র আগামী ১৯ জুলাই কাউন্সিল স্থগিত করেছে। তবে নতুন করে কোন দিন ধার্য করেনি।তবে মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতানাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কাউন্সিল নিয়ে বরাবর যা হয়, এবার তা-ই হবে এমনটিই আশংকা করা হচ্ছে।তবে ওই আশংকা উড়িয়ে দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান। তিনি জানান, রোজার কারণেই কাউন্সিল স্থগিতের বিষয়ে দলের কার্যকরী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরে তা কেন্দ্রে জানিয়ে দেয়াও হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্র কাউন্সিল স্থগিত করেছে।পরবর্তী সময়ে কবে কাউন্সিল আয়োজন হতে পারে এমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোজার পরে শোকের মাস আগস্ট। সেই জন্য ওই মাসেও কাউন্সিল হবেনা। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে অবশ্যই হবে।এদিয়ে দলীয় সূত্রগুলো জানায়, কাউন্সিল উপলক্ষে এরই মধ্যে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবার ৩০ সাংগঠনিক ওয়ার্ড ভেঙে ৩৭টি করা হয়েছে। পাশপাশি চারটি থানা ভেঙে পাঁচটি করা হয়েছে। শুধুমাত্র মতিহার ও রাজপাড়া থানায় নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি করা হয়েছে।এর আগে নগরের তৎকালীন দৈনিক বার্তা মাঠে ২০০৫ সালের ১৬ জানুয়ারি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। ওই সময় প্রয়াত মাসুদুল হক ডুলু সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।২০০৮ সালের ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনই মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে সাধারণ সম্পাদক লিটন মেয়র নির্বাচিত হন।আর বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার অভিযোগে ওই বছর ২২ আগস্ট রাতে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতি মাসুদুল হক এবং তাকে সমর্থন দেয়ায় সহসভাপতি মোস্তাক আহাম্মেদকে বহিষ্কার করার জন্য সুপারিশ করা হয়।ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাসুদুল। এর দুই বছর পরে সহসভাপতি বজলুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। সর্বশেষ কেন্দ্র থেকে কমিটির মেয়াদ ২০০৮ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০১১ সাল পর্যন্ত করা হয়।রাজশাহী: দীর্ঘ নয় বছর অপেক্ষার পর কাউন্সিল আয়োজনের ঘোষণায় চাঞ্চল্য এসে ছিলো রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগে। কেন্দ্র থেকে আগামী ১৯ জুলাই কাউন্সিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন্দ্র আগের নির্ধারিত তারিখ স্থগিত করেছে।ফলে থমকে গেছে প্রতিক্ষিত কাউন্সিল আয়োজন। রোজার কারণ দেখিয়ে এ কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে বলে রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন। তবে পরবর্তী দিন ধার্য না হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা।নেতা-কর্মীরা বলছেন, কয়েক দিন আগে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় দলের কাউন্সিল পিছানোর ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই সিদ্ধান্তের কপি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এরই আলোকে কেন্দ্র আগামী ১৯ জুলাই কাউন্সিল স্থগিত করেছে। তবে নতুন করে কোন দিন ধার্য করেনি।তবে মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতানাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কাউন্সিল নিয়ে বরাবর যা হয়, এবার তা-ই হবে এমনটিই আশংকা করা হচ্ছে।তবে ওই আশংকা উড়িয়ে দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান। তিনি জানান, রোজার কারণেই কাউন্সিল স্থগিতের বিষয়ে দলের কার্যকরী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরে তা কেন্দ্রে জানিয়ে দেয়াও হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্র কাউন্সিল স্থগিত করেছে।পরবর্তী সময়ে কবে কাউন্সিল আয়োজন হতে পারে এমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোজার পরে শোকের মাস আগস্ট। সেই জন্য ওই মাসেও কাউন্সিল হবেনা। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে অবশ্যই হবে।এদিয়ে দলীয় সূত্রগুলো জানায়, কাউন্সিল উপলক্ষে এরই মধ্যে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবার ৩০ সাংগঠনিক ওয়ার্ড ভেঙে ৩৭টি করা হয়েছে। পাশপাশি চারটি থানা ভেঙে পাঁচটি করা হয়েছে। শুধুমাত্র মতিহার ও রাজপাড়া থানায় নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি করা হয়েছে।এর আগে নগরের তৎকালীন দৈনিক বার্তা মাঠে ২০০৫ সালের ১৬ জানুয়ারি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। ওই সময় প্রয়াত মাসুদুল হক ডুলু সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।২০০৮ সালের ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনই মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে সাধারণ সম্পাদক লিটন মেয়র নির্বাচিত হন।আর বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার অভিযোগে ওই বছর ২২ আগস্ট রাতে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতি মাসুদুল হক এবং তাকে সমর্থন দেয়ায় সহসভাপতি মোস্তাক আহাম্মেদকে বহিষ্কার করার জন্য সুপারিশ করা হয়।ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাসুদুল। এর দুই বছর পরে সহসভাপতি বজলুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। সর্বশেষ কেন্দ্র থেকে কমিটির মেয়াদ ২০০৮ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০১১ সাল পর্যন্ত করা হয়।