জয়দেব দাস, কলকাতাঃ মেয়ের প্রেমে সায় ছিল না ইঞ্জিনিয়ার বাবার৷ প্রণয়ী ছেলেটি ‘ভালো’ নয় বলে সম্পর্কে বাধা দিয়েছিলেন৷ তার জেরে তাঁকে অপহরণ করে খুন করল মেয়ের প্রণয়ীর সঙ্গীরা৷ ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শিবপুরের৷ মৃতের নাম রজতশুভ্র মুখোপাধ্যায়। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই ইঞ্জিনিয়ার নিখোঁজ ছিলেন৷ অপহৃত ইঞ্জিনিয়ারের খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ তারাই খুনের কথা কবুল করেছে। বলেছে, মৃতদেহটি মাটির নীচে পুঁতে দিয়েছে। পুলিশ তাদের সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে সেই ঋতদেহটি তোলার চেষ্টা করবে বলে হাওড়ার পুলশ সুপার মঙ্গলবার জানিয়েছে।
অপহৃত ইঞ্জিনিয়ারকে খুঁজতে গিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তাদের কাছ থেকেই এই খুনের তথ্য পেয়েছে পুলিশ৷ ধৃতরা কবুল করেছে, মেয়ের প্রণয়ে বাধা দেওয়াতেই নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে শিবপুরের ইঞ্জিনিয়ার রজতশুভ্র মুখোপাধ্যায়কে৷ খুন করে দেহ সন্দেশখালিতে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছে৷
তবে এখনও পর্যন্ত দেহ উদ্ধার হয়নি৷ ধৃতদের নিয়ে গিয়েই সেই দেহ উদ্ধার করা হবে৷ শিবপুরের বাড়িতে খবর পৌঁছনোর পরই নেমে এসেছে শোকের ছায়া৷
জানা গিয়েছে, জুন মাসে অপহরণের পর দু’লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করেছিল ধৃতরা৷ বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই ইঞ্জিনিয়ার নিখোঁজ ছিলেন৷ অপহৃত ইঞ্জিনিয়ারের খোঁজে চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ তাদের দফায় দফায় জেরা করা হয়৷ অবশেষে সোমবার রাতে পুলিশের গুঁতো খেয়ে সত্যিটা বলে ফেলে তারা৷ পুলিশ জানিয়েছে, রজতশুভ্রবাবুর মেয়ের সঙ্গে ধৃতদের ঘনিষ্ঠ কারও প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল৷ মেয়ের প্রণয়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার রজতশুভ্র মুখোপাধ্যায়৷ প্রেমিক ও তার দলবল বিষয়টিকে ভালভাবে নেয়নি৷ তারাই গত জুন মাসে রজতশুভ্রবাবুকে অপহরণ করে৷ অপহরণের পরই তাঁকে ওই অপহরণকারীরা খুন করে থাকতে পারে৷ তবে কেন বাড়িতে ফোন বা মোবাইলে এসএমএস করে মুক্তিপণের দাবি জানায় অপহরণকারীরা, সে ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দু’লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল ধৃতেরা৷ পুলিশ অবশ্য তাদের সেই মুক্তিপণ চাওয়ার সূত্র ধরেই গ্রেফতার করে৷ হাওড়ার সিটি পুলিশ প্রথমে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করবে৷ এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে নাকি শুধুমাত্র প্রণয়ের বিষয়ই জড়িত, তা-ও জানার চেষ্টা হচ্ছে৷