শ্যামলবাংলা ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ৬ দিনে অন্তত: ১৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ১৩ জুলাই রবিবার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে ওই তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের প্রতি যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়ে তাদের মধ্যে সরাসরি আলোচনা আহ্বান জানিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে এক বিবৃতি পাশ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এর আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ দ্বিধাবিভক্ত থাকলেও এবারই প্রথম তারা সর্বসম্মতিতে এই প্রস্তাব পাশ করেছে। এই প্রচেষ্টার পাশাপাশি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি রবিবার যুদ্ধবিরতির পক্ষে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে ভিয়েনায় কথা বলবেন।
তবে একদিকে যখন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে, তখন অন্যদিকে ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনিদের লাশের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর গত ৬ দিনে অন্তত: ১৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। তবে হামাসের রকেট হামলায় এখন পর্যন্ত কোন ইসরায়েলি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, লেবানন থেকেও উত্তর ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা শুধু হামাসের সামরিক স্থাপনায় হামলা করছে।
জাতিসংঘ বলছে, এ পর্যন্ত নিহতদের ৭৭ শতাংশই বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিক। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ২৮ জন শিশু রয়েছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য কাজ করছে জাতিসংঘের যে সংস্থা সেই ইউএনডব্লিউআরএ’র কর্মকর্তা আদনান আবু হাসনা বলছেন, ‘মাঠ পর্যায়ে আমরা যা দেখছি তাতে স্পষ্টতই বহু শিশু ইতোমধ্যে মারা গেছে। এই লড়াইয়ে তাদের কোনোই অংশগ্রহণ ছিল না এবং তারা শতভাগ নিরপরাধ। এভাবে তাদের নিহত হওয়া মানা যায় না।’ এছাড়া গাজা উপত্যকা জনসংখ্যা অধ্যুষিত হওয়ায় প্রাণহানির ঘটনা বেশি ঘটছে বলেও নিজের পর্যবেক্ষণের কথা জানান তিনি।
