অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) : আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন স্থান ধসে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে পরে যেকোন সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বহুদিনের প্রত্যাশিত আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের কাজ ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুরু হলেও ২০০১ সালে ৪দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে এই প্রকল্পটির কাজ বন্ধ করে দেয়। ২০০৮ সালে পুনরায় আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সেতু-ব্রীজের কাজ শেষ করা হয়। কোটালীপাড়ার একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মহাসড়ক ও সেতু উদ্বোধন করেছিলেন। তারপরেও মহাসড়কটির ব্রীজের এ্যাপ্রোচ সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহাসড়কের বরিশালের আগৈলঝাড়া অংশে পয়সারহাট খালের উপরে নির্মিত ব্রীজের দক্ষিণপাশে বক্স কালভার্ট ও ১৯শ’ মিটার এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের জন্য ৫ কোটি ৮০লক্ষ টাকায় টেন্ডারটি পায় বরিশালের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বক্স কালভার্টের কাজ শেষ করলে সেতুর দু’পাশের এ্যাপ্রোচ সড়কে কাজ এখন পর্যন্ত শেষ করতে পারেনি। এ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ তদারকী করেছেন সওজ’র ওয়ার্ক এ্যাসিন্ট্যান্ট সালেক মিয়া। কিন্তু কাজ শেষ না হতেই কয়েক দিনের বর্ষণে ও কাজের মান খারাপ হওয়ায় দু’পাশের এ্যাপ্রোচ সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে পরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে পরে রাতের অন্ধকারে ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। এ ব্যাপারে সওজ’র এসও শিশির কুমার বড়ালকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আগৈলঝাড়ায় রাস্তার জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আহত ১৫জন
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রাস্তার জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মহিলাসহ ১৫জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৯জনকে বরিশাল শেবাচিম ও ৩জনকে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহতসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর দত্তেরাবাদ গ্রামে রাস্তার জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মুজাহার আলী সরদার ও শামসুল হক কবিরাজের মধ্যে আদালতে মামলা চলে আসছে। গতকাল সকালে বিরোধী জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটার একপযার্য়ে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মুজাহার সরদার, সিরাজুল, নাসির, ফারুক, আলী আকবর, কালাম কবিরাজ, জহিরুল, রিয়াজুল, মৌসুমী বেগম, তাহেরুন বেগমসহ ১৫জন আহত হয়। গুরুতর আহত ৯জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল এবং ৩জনকে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশের এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এব্যাপারে শামসুল হক ও মুজাহার সরদার পক্ষ থেকে পৃথকভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জুন ক্লোজিং-এর অজুহাতে আগৈলঝাড়ায় পিআইও বিভাগের পার্সেন্টেজ আদায়

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় জুন ক্লোজিং-এর নামে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে পার্সেন্টেজ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রকল্প সিপিসিদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের বিভিন্ন সময়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগ প্রদত্ত কাবিখা, কাবিটা, টিআরসহ বিভিন্ন প্রকল্প সঠিক বাস্তবায়নের আগে ও পরে সংশ্লিষ্ট বিভাগ জুন ক্লোজিং-এর অজুহাত দেখিয়ে প্রকল্প চেয়ারম্যান (সিপিসি) দের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ পার্সেন্ট পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ টাকা অর্থ আদায় করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অর্থ বছরের শেষদিকে জুন মাসে এই আদায়ের হার বৃদ্ধি পায়। পার্সেন্টেজের টাকা না দেয়া পর্যন্ত কোন সিপিসি’র বিলের চেক বা কাগজ দেয়া হয়না। পার্সেন্টেজের টাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তর ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। একাধিক প্রকল্প সিপিসি নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়, অফিসের চাহিদা মতো পার্সেন্টেজের টাকা না দিলে তাদের বিল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে পার্সেন্টেজের টাকা ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শচীন্দ্র নাথ বৈদ্য সাংবাদিকদের বলেন, পার্সেন্টেজের টাকা আদায়ের ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।
আগৈলঝাড়ায় গরীব কৃষকদের কৃষি উপকরণ বিতরণ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ১৫০ জন দুঃস্থ অসহায় কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষকদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইউসুফ মোল্লা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মলিনা রানী রায়, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ওমর ফারুক, বাগধা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি, রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ।
