রাজীবপুর(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : সরকারি হাটশেট ঘরের ভিতর আরেকটি ঘর তুলছেন আব্দুল বাতেন (৪৫) নামের আ’লীগ কর্মী। হাটশেটের মেঝে ভেঙ্গে তাতে খাম পুঁতে প্রকাশ্যে ওই দোকান ঘর উঠালেও কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসনও জানে না ঘরের ভিতর ঘর উঠানোর বিষয়টি। এনিয়ে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়িদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি হাটশেটের ভিতর আরেকটি ঘর উঠানোর এই চিত্রটি কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি হাটবাজারের।

বৃহষ্পতিবার সরেজমিনে কোদালকাটি বাজারে গিয়ে ঘর উঠানোর চিত্রটি দেখা গেছে। অবৈধ ভাবে সরকারি স্থানে ঘর উঠানোর কারন জানতে চাওয়া হলে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘এইস্থানে আমি কাপড়ের দোকান করতাম। কিন্তু বৃষ্টির সময় দোকান করা সমস্যা হয়। আর এ কারনে এটা করা হচ্ছে। যাতে দোকান করতে সুবিধা হয়।’ সরকারি হাটশেটের ভিতর ঘর উঠানো প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘আমি তো আর জায়গাটা নিয়া গেলাম না।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ি বলেন, ‘আমি যে জায়গাটিতে দোকান বিছাতাম সেটা সুদ্দা উনি ঘর তুলছে। না করছি দেইখ্যা আমাক মারবার আইছিল। ওরা সরকারি দলের লোক। তাগরে ভয়ে কেউ কতা কয় না।’
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, কোদালকাটি বাজারের উত্তর পাশেই আব্দুল বাতেন এর বাড়ি। তাদের পরিবারের লোকজন সরকারি দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তিনিও আ’লীগের একজন সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে। বাজারের এক ব্যবসায়ি জানান, তার ভাই ভাইস্তারা সব আ’লীগ করে। আর এজন্য তাদের দাপট সবাই অসহায়।

ঘরের ভিতর ঘর উঠানো অবৈধ এটা স্বীকার করে হাটের ইজারাদার আবু সাঈদ মধু বলেন, ‘আমি নিষেধ করেছিলাম কিন্তু তারা মানেনি।’ কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শুনেছি যে সরকারি হাটশেটের ভিতরে আরেকটি ঘর উঠানো হচ্ছে। আমি জানি আমার কথা তারা শুনবে না। তাই আমি নিষেধ করিনি।’
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ খান বলেন, ‘আমি ওই বিষয়টি জানি না। কেউ আমাকে জানায়নি।’
