মাহফুজার রহমান (মনু) রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ভিজিএফ’র তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৬৩টি ওয়ার্ডে ৩২ হাজার ৮৫টি পরিবারের মাঝে মাথাপিছু ১০ কেজি করে প্রায় ৩২১ মে. টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এদিকে ৭টি ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বিরুদ্ধে তালিকা প্রণয়নে কিছু ভূয়া নাম দেখিয়ে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যানন্দ ইউপি’র চতুরা ও কালীরহাট এলাকার একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে বলেন, সাংবাদিক ভাই, হামার গুলাক নদী ভাঙ্গি সর্বনাশ করছে। তারপরও চেয়ারম্যান-নেম্বররা হামার গুলার এলাও খোঁজ নেয়নি। ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপি’র বুড়িরহাট ও বড় দরগা এলাকার আজিজার (৬০), সুনিল (৪৭) জানান, হামার নাম ভাংগে নেম্বর-চেয়ারম্যানরা তালিকা বানেয়া চাউল উঠায়। হামরা পাইনা। এবার হামার গুলার নাম বাদ যেন না যায়। সাংবাদিক ভাইরা তোমরা বড় বড় করি নেখেন। হামার এলাকায় এখনো ভিজিএফ মালের তালিকা হয় নাই। এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ছানাউলা নুরী বলেন, এখন পর্যন্ত ৭টি ইউনিয়নে ভিজিএফ’র তালিকা তার কার্যালয়ে পৌঁছেনি। তাহলে কি ভাবে বুঝবো, তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম হয়েছে। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ভিজিএফ-এর মাল বিতরণের দিন ওইসব ইউনিয়ন পরিদর্শনে যাবো। কোন অনিয়ম পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে কেউ ছাড় পাবেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।