ফ রিপোর্টার : শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের দায়ে মাসুদ মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড হয়েছে। ৮ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আ.ন.ম ইলিয়াস ওই সাজার আদেশ দেন। দন্ডিত মাসুদ মিয়া পলাতক রয়েছে।

জানা যায়, ২০০১ সালের ২৭ মার্চ শেরপুর শহরের কসবা কাচারীপাড়া মহল্লার দরিদ্র পরিবারের সন্তান ইয়াসমীন বেগমকে বিয়ে করে শ্রীবরদী উপজেলার রহমতপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মোঃ মাসুদ মিয়া। এরপর তাদের জন্ম নেয় ২ জমজ পুত্রসহ ৩ পুত্রসন্তান। কিন্তু টানা-পোড়েন সংসারে স্বামী মাসুদ প্রায়ই অত্যাচার-নির্যাতন চালাত স্ত্রী ইয়াসমিনের প্রতি। এক পর্যায়ে ২০১২ সালের ২২ জানুয়ারী ৪০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে ৩ সন্তানসহ স্ত্রীকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয় পাষন্ড মাসুদ। পিতৃহীন ও ভাই-বোন না থাকা ইয়াসমীনের মাতা ঢাকায় ঝি এর কাজ করায় সে নাবালক ৩ সন্তানসহ আশ্রয় নেয় কসবা কাচারীপাড়ায় থাকা আপন খালা মর্জিনার বাড়িতে। এরপর একই বছরের ১৫ মার্চ সে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সহায়তায় স্বামী মাসুদ মিয়া বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় একটি শেরপুরের সি,আর কগনিজেন্স ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় পাষন্ড স্বামী স্ত্রীকে নিয়ে ঘর-সংসার করার শর্তে আদালত থেকে জামিন নিলেও পরবর্তীতে সে লাপাত্তা হয়। ফলে তার অনুপস্থিতিতেই চলে বিচারিক কার্যক্রম। বাদীসহ ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ওই সাজা দেন। মামলাটি লিগ্যাল এইড কমিটির পক্ষে এডভোকেট একেএম হাবিবুল ইসলাম পরিচালনা করেন।
