প্রতীক ওমর, বগুড়া : বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে ব্যাপক বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষের সাথে গোপন আঁতাত করে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে, অধ্যক্ষ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে চ্যালেঞ্জু ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, অভিযোগ প্রমান হলে তিনি পদ ছাড়তেও রাজি আছেন।
জানাগেছে, চলতি শিক্ষা বর্ষে সরকারি আযিযুল হক কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ১ হাজার ৪’শ আসনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৭’শ, মানবিকে ৩৫০ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৩৫০ আসন। প্রথম অবস্থায় মেধাক্রম অনুসারে ১ হাজার ৩’শ জনকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে। এরপর কর্তৃপক্ষ অবশিষ্ট ১’শ আসনে অপেক্ষমান তালিকার মেধাক্রম অনুসারে ভর্তির ঘোষণা দেয়। বর্তমানে বিজ্ঞান বিভাগে ৬টি, মানবিকে ১৫টি এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৭টি আসন খালি আছে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। কিন্তু অপেক্ষমান তালিকার প্রথম সারিতে থাকা শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেনা বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, এক’শ শুন্য আসনের মধ্যে ৩০টি আসনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এসব আসনে ভর্তির জন্য প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিচ্ছে ছাত্রলীগ। অবশিষ্ট ৭০ শুন্য আসনেও মেধাক্রম লঙ্ঘন করে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মিদের তদবির প্রাধান্য পাচ্ছে। এর ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি মশিউর রহমান মন্টি জানান, ‘ভর্তি নিয়ে কোন অনিয়ম হয়নি। কোন অনিয়মের সাথে সাথে ছাত্রলীগ জড়িত নয়। ৩০টি আসন ছাত্রলীগ মনিটরিং করছে।’ তবে, অধ্যক্ষ দীপকেন্দ্র নাথ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, ভর্তি নিয়ে কোন অনিয়মের সুযোগ নেই। যদি কেউ প্রমান করতে পারে তাহলে তিনি পদ ছেড়ে দিতেও রাজি আছেন।
