এম.আবদুল্লাহ আনসারী, পেকুয়া (কক্সবাজার) : পেকুয়ায় সীমানা বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পিতা ও পুত্রকে জখম করেছে। জানাযায়, গতকাল সকালে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া সেগুন বাগিচা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের প্রথমে পেকুয়া সদর হাসপাতালে ও পরে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সাথে কথা বলে জানাযায়, ওই এলাকার আবুল হোসেন তার বসতবাড়ীর সীমানায় গাছ রোপন করতে গেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী বদিউল আলম বধ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে আবুল হোসেন (৪০) এর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে।
এদিকে পিতাকে কুপাতে দেখে ১৫ বছরের শিশু মোরশেদ পিতাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। পরে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় এবং আহত পিতা ও পুত্রকে প্রথমে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
এব্যাপারে আহতপক্ষের লোকজন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানাযায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমইউপি জাফর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সীমানা বিরোধের জের ধরেই একপক্ষ আরেক পক্ষের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে।
পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর করুণ মৃত্যু
পেকুয়ায় প্রথম রমজানে ইফতারের আগে পুকুরে ডুবে এক শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে। জানাযায়, গত রবিবার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাতবর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীসূত্র জানায়, ওই এলাকার দিনমজুর বাদশার ২ বছরের শিশুপুত্র বোরহান খেলার ছলে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। পরে অনেক খুঁজাখুঁজির পর পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে তাকে উদ্ধার করে পেকুয়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় তার মায়ের আহাজারিতে এলাকার আকাশ ভারী হয়ে উঠে।
মগনামা ইউনিয়ন যুবলীগ সম্পাদক অপহৃত ঃ ৩ঘন্টা পর উদ্ধার

পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মৃত রশিদ আহদের পুত্র আবদু রহিমকে অপহরণের ৩ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ। তবে অপহরনকারী চক্ররের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে ৩০জুন সোমবার বিকাল ৫টার দিকে মগনামা থেকে উপজেলা সদরে আসার পথে মগনামা-পেকুয়া কাটাফাঁড়ি ব্রীজ সংযোগ পেকুয়া সীমান্ত ফাতেহ আলী মাতবর পাড়ায়।
মগনামা থেকে উপজেলা পেকুয়া আসার পেকুয়া-মগনামা সীমান্ত কাটাফাঁড়ি ব্রীজ সংলগ্ন ফাতেহ আলী মাতবর পাড়া এলাকায় পৌছলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা সংঘবদ্ধ অপহরণকারীরা তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা মুক্তিপন আদায়ের উদ্দেশ্যে মারধর শুরু করলে তিনি কৌশলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে অপহৃত হওয়ার বিষয়ে অবগত করলে তারা তাৎক্ষনিক পেকুয়া থানাকে বিষয়টি অবগত করে। পেকুয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান সাথে সাথে এসআই মতিনকে একদল পুলিশ ফোর্স নিয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে পুলিশ আসার খবর পেয়ে অপহরণকারীরা তার কাছে রক্ষিত নগদ ২০হাজার টাকা একটি মোবাইল ও একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত সড়কে পড়ে। অপহৃত আবদু রহিম এ প্রতিনিধিকে কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, প্রয়োজনীয় কাজ সারতে ঘটনার দিন পেকুয়া বাজার আসছিলেন। প্রতিমধ্যে কাটাফাঁড়ি বেইলি ব্রীজ পার হয়ে পেকুয়া সীমান্ত আসার সাথে সাথে ফাতেহ আলী মাতবর পাড়ার মৃত মুরাদ উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র ইয়াবা ও হিরোইন ব্যবসায়ী আবদুল লতিফ জুয়েল ও নুরুল আজিম চৌধুরী পুত্র আবিদসহ সংঘবদ্ধ আরো ১০/১২জন লোক অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে পার্শ্বে একটি বাড়িতে আটকে রেখে নির্মম নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে ১০লাখ টাকা দাবী করে বাড়িতে ফোন করতে বলে। কৌশলে আমি বাড়িতে ফোন না করে আমার উপজেলা সভাপতি ও সম্পাদককে ফোন করি। তারা দ্রুত পুলিশ পাঠালে অপহরণকারীরা আমার কাজে থাকা টাকা, মোবাইল ও একটি স্বর্ণের চেইন কেড়ে নিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে এস আই মতিন ও রেজাউল করিম রেজাকে পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করি। দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
