ads

মঙ্গলবার , ১ জুলাই ২০১৪ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

রাজারহাটে তিস্তার ভাঙ্গনে আবাসনসহ ৬০টি পরিবারের বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন : শতাধিক ভাঙ্গনের মুখে

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
জুলাই ১, ২০১৪ ৮:১২ অপরাহ্ণ

Rajarhat Pic-01-07-14-1মাহফুজার রহমান মনু, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : ‘দেশের সরকার, মন্ত্রী-এমপি, প্রশাসন কেউ নাই বাহে। হামরাগুলা এখন কোথায় যাই। হামাকগুলাক এ পর্যন্ত কাইয়ো দেইকপার আইসে নাই। হামার আর থাকা খাওয়ার জাগা নাই।’ এ রকম আর্তনাদ ও বিলাপ করতে করতে কথাগুলো বললেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দের মন্দির এলাকার তিস্তা নদীতে বিলীন হওয়া আবাসন প্রকল্পের আব্দুল বাতেন (৪৮), শাহাজান (৩৮), হাজরা (৫০), করিমা বেগম (৫০) ও মোঃ আবু সহ ৪০টি পরিবারের লোকজন। গত দু’দিনে এ আবাসনটির ৪০টি পরিবারের মধ্যে ৩০টি পরিবারের বসত-বাড়ি তিস্তা গর্ভে বিলীন হয়ে এখন তারা খোলা আকাশের নিচে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ভাঙ্গন কবলিত পরিবারগুলোর মধ্যে সরকারি-আধা সরকারি ভাবে কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি।
সরজমিনে জানা যায়, রাজারহাট উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রাক্ষুসী তিস্তা নদী গত দশ দিনের ব্যবধানে বিদ্যানন্দ ইউপি’র মন্দির, রতি, পাড়ামৌলা, তৈয়বখাঁ, ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপি’র বুড়িরহাট, রামহরি, নাজিমখান ইউপি’র রতিদেব, সোমনারায়ন ও হাসারপাড় এলাকায় ৭০টি পরিবারের প্রায় আড়াই শতাধিক ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা ও ফসলী জমিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অপর দিকে ডাংরারহাটের ৬নং স্পার বাঁধটি প্রবল পানির স্রোতে দেবে গেছে। পার্শ্বেই আবাসনের আদর্শ গ্রামের ৪০টি পরিবারের মধ্যে ৩০টি পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় বর্তমানে ওইসব পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে অতি কষ্টে দিন যাপন করে আসছে। এদিকে তিস্তার তীরবর্তী বসবাসকারী পরিবারগুলোর দুশ্চিন্তায় কাটছে তাদের নির্ঘুম রাত। তৈয়বখাঁ মৌজার বাঁধ রক্ষার্থে পিচিং-এর দক্ষিণে ধস ও পার্শ্ববর্তী ঠুটাপাইকরের ভাঙ্গন রক্ষার্থে বেরী বাঁধটি প্রবল পানির স্রোতে ঝুঁকির মধ্যে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে চরম আতংকে রয়েছে তিস্তার তীরবর্তী সহস্রাধিক পরিবারের বসত-বাড়ীসহ বাগানবাড়ী, মসজিদ-মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি, গাছ-পালা। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিবারগুলোর আর্তনাদ ও চিৎকারে ওই এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু তাহেরের সঙ্গে এসব বিষয়ে তাঁর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তিস্তার ভাঙ্গনের কথা স্বীকার করে বলেন, দায়িত্ব প্রাপ্ত এসও আবুল কালামকে দিয়ে সরেজমিন ওইসব এলাকা পরিদর্শন পূর্বক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলোর ভাঙ্গন রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. ছানাউল্লা নুরী বলেন, গত তিনদিন পুর্বে ৪৫টি পরিবারের তালিকা তৈরী করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা সমূহ পরিদর্শন করেছি এবং এ পর্যন্ত হাতে ৩টি তালিকা পৌঁছেছে। প্রথমটির রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। বাকী দু’টির যাচাই-বাছাই চলছে। ভাঙ্গন রোধকল্পে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভাঙ্গন কবলিত পরিবারগুলো।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!