প্রতীক ওমর,বগুড়া : বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষনে উপজেলার নীচু এলাকা ডুবে গেছে। নাগর নদের বাঁধের তিনটি স্থানে ধ্বসে গিয়ে চারটি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তালোড়া পৌরসভার পক্ষে এসব স্থানে বাঁশের বেড়া ও বস্তা ভর্তি বালু দিয়ে বাঁধ রক্ষার কাজ চলছে। এদিকে খেতের পানি বের হতে না পারায় বিভিন্ন গ্রামের পুকুর ডুবে গিয়ে মৎস্যচাষিদের বড় ধরনের ক্ষতির হিসাব গুণতে হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, প্রবল বর্ষনে নাগর নদের তালোড়া পগুল গ্রাম, শাবলা হিন্দু পাড়া ও পিঁপড়া গ্রামের বাঁধ ধ্বসে গেছে। এতে পগুল, নিশিন্দারা, ধানপূজা, পিঁপড়া ও শাবলা গ্রামের সঙ্গে তালোড়া পৌর এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে এ সব গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তবে আকস্মিক এ ঘটনায় তালোড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে বাঁধ রক্ষার জন্য তাৎক্ষণিক বাঁশের বেড়া ও বস্তা ভর্তি বালু দেওয়া হচ্ছে।পগুল গ্রামের আব্দুল লতিফ, আব্দুল মজিদ বলেন, নদের বাঁধ ধ্বসে যাবার ঘটনা এই প্রথম। বাঁধের পাকা রাস্তাটিও ভেঙ্গে গেছে। বাঁধ ভেঙ্গে গ্রামে পানি ঢুকে বিভিন্ন বাড়ি ডুবে যাচ্ছে।

এদিকে হঠাৎ প্রবল বর্ষনে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় খেতের পানি বেড়ে যাচ্ছে। ফলে গ্রামগুলোতে বিভিন্ন পুকুর ডুবে মাছচাষিদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। মৎস্যচাষি শাহিদুর রহমান কয়েন, সোহেল সহ কয়েকজন বলেন, সরকারি পুকুর সহ ব্যক্তিমালিকানার পুকুর লিজ নিয়ে আমরা মাছ চাষাবাদ করি। পুকুরে পানি ঢুকে খেতের পানি আর পুকুরের পানি একাকার হয়ে গেছে। এতে পুকুরে লাখ লাখ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে।
তালোড়া পৌরসভার মেয়র আব্দুল জলিল বলেন, নাগর নদের বাঁধের কোনো সংস্কার নেই। ইটভাটার মালিকরা চড়া দামে মাটি কেনার লোভে বাঁধের পার্শ্ব থেকে যত্রতত্র ভাবে মাটি কাটায় এ ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
