মাহফুজার রহমান (মনু) রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা সদর বাজারটি প্রতিবছর ইজারায় সরকার লাখ-লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করলেও হাটটির উন্নয়ন প্রকল্পে নেই কোন সঠিক তদারকি। প্রতিবছর বাজারটি সংস্কার প্রকল্পের নামে ব্যাপক অর্থ ব্যয় করা হলে পরিকল্পনার অভাবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী-হাঁটুরে ও জনসাধারণের অভিযোগ। বিশেষ করে প্রতি বছর বর্ষা মওসুমে এ বাজারটিতে চলাচল করা দুস্কর হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বেশীরভাগ এলাকায় হাঁটু পানি জমে কাঁদা-আবর্জনা ও মল-মূত্রে একাকার হয়ে যায়। পানি নিস্কাশনের জন্য লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত নিম্নমানের ড্রেনগুলো ময়লার স্তুপ ও ব্যবসায়ীদের হীন মানসিকতায় পানি যাতায়াতের মুখগুলো বন্ধ করার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি ও আবর্জনা জমে থাকে। অন্যদিকে মাংস হাটি ও মধ্য বাজারের অলি-গলিগুলোতে ময়লা আবর্জনার স্তুপ ভরাট হয়ে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার পরও তা অপসারণ না করায় পরিবেশ দুষণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। জনগুরুত্বপূর্ণ এ বাজারটিতে গণ শৌচাগার না থাকায় ব্যবসায়ী, হাঁটুরে ও জনসাধারণ যেখানে-সেখানে প্রস্রাব-পায়খানা করতে দেখা যায়। যত্রতত্র বাজারটির দূর্দশার খবর স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে জানতে পেয়ে গতকাল দুপুরে নবাগত রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাজেদুর রহমান স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরকে সঙ্গে নিয়ে সরজমিন বাজারটি পরিদর্শন পূর্বক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের দূর্দশার কথা শোনেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম, ভাইস চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ছানাউল্লা নুরী, প্রেসক্লাব রাজারহাট-এর যুগ্ম সা. সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মাহফুজার রহমান মনুসহ গণমাধ্যম কর্মীরা। পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাজেদুর রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আগামী কদিনের মধ্যে বনিক সমিতির নেতা ও হাট ইজারাদারের সঙ্গে পরামর্শ পূর্বক বাজারটির সংস্কারকল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
