কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ডাক্তারের ভূল চিকিত্সায় শান্তা (১৮) নামে এক মেধাবী কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। হার্ট সমস্যা জনিত কারণে মুখ দিয়ে বের হওয়া ফেনাকে বিষপান ভেবে চিকিত্সা দেয়ায় ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিভাবকরা জানান ।
উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে শান্তা (১৮) কেশবপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী। সে কেশবপুরে মেসে থেকে লেখাপড়া করত। সোমবার রাতে ঘুমানোর কিছুসময় পর গোঙ্গানীর শব্দ শুনে সহপাঠিরা উঠে দেখে শান্তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। এ সময় সহপাঠিরা দ্রুত তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বিষপান করেছে ধারনা করে তাকে ওয়াশ করাসহ বিষপানের চিকিত্সা দেয়। এক পর্যায়ে ওয়াশ করাকালে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বিষপান করেছে কিনা তা নিশ্চিত না হয়ে বিষপানের চিকিৎসা করায় ঐ কলেজ ছাত্রীর মুত্যু হয়েছে বলে স্বজনসহ প্রতাক্ষদর্শীদের অভিযোগ। এ ব্যাপারে মৃতের পিতা রেজাউল করিম জানান, তার মেয়ে বিষপান করেছে এমন কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, সম্পুর্ন ভূল চিকিৎসায় তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে কর্তব্যরত ডাক্তার উৎপল জানান, বিষপান করার মতো আলামত থাকায় তাকে বিষপানের চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে নিশ্চিত বিষপান করেছে এমন প্রমান পাওয়া যায়নি । এদিকে মেধাবী কলেজ ছাত্রী শান্তার মৃত্যুতে অভিভাবক, শিক্ষক, সহপাঠিসহ এলাকাবাসির মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।