শ্যামলবাংলা স্পোর্টস : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই নিজের আগমনী বার্তা জানিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। ওয়ানডে অভিষেকে নিজেকে নিয়ে গেলেন এমন উচ্চতায় যেখানে এর আগে পৌঁছাতে পারেননি বাংলাদেশের কোন বোলার। অভিষেকে বাংলাদেশের আর কেউ যে ৫ উইকেট পাননি।
বাংলাদেশের মূল শক্তি স্পিন বোলিং। আর প্রতিপক্ষ ভারত স্পিনের বিপক্ষে বিশ্ব সেরা। তাই প্রথম ওয়ানডেতে হারের পর পেস দিয়েই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বধের কৌশল নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের জায়গায় নিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামেন তাসকিন। পেস সহায়ক উইকেটে শুরু থেকেই তাসকিনকে খেলতে সমস্যা হচ্ছিল ভারতের ব্যাটসম্যানদের। সহায়ক কন্ডিশন আর দুই দিকেই সুইং করানোর সামর্থ্য থাকায় শুরু থেকেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
তার প্রথম শিকার আগের ম্যাচে অর্ধশতক করা রবিন উথাপ্পা। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে আউট সুইংগারটি পুল করতে গিয়ে মোটেও টাইমিং করতে পারেননি তিনি। ফল মিড অফে ফলাফল জিয়াউর রহমানের হাতে সহজ ক্যাচ। ৬৬ রানে প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানকে হারানো ভারত তাকিয়ে ছিল অলরাউন্ডার স্টুয়ার্ট বিনির দিকে। তাকে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দী করে সেই আশাও শেষ করে দেন তিনি। ইনসুইংয়ে এলবিডব্লিউর তাসকিন ফাঁদে ফেলেন অম্বাতি রাইডু, চেতেশ্বর পুজারা আর অমিত মিশ্রকে। শেষ ব্যাটসম্যানকে আউট করেই ইতিহাস গড়েন। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে অভিষেকেই নেন ৫ উইকেট, তাও মাত্র ২৮ রানের খরচায়। অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে এর আগে চার উইকেট নিয়েছিলেন রুবেল হোসেন ও সোহাগ গাজী।
এর আগে ওয়ানডে অভিষেকে ৫ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব ছিল মাত্র ৭ জনের। সর্বশেষ এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন ব্রায়ান ভিতোরি, বাংলাদেশের বিপক্ষেই। তাসকিনের মারাত্মক বোলিংয়ে মাত্র ২৫ ওভার ৩ বলে ১০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ওয়ানডেতে এটিই বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের সর্বনিম্ন রান। আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৯১, ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে এই রান করেছিল তারা। আর ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোন বোলার এই প্রথম ৫ উইকেট নিলেন। আগের সেরা ছিল পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজার। ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

