চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারীর বড়বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনত্তোর দু’গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের চিতলমারী, টুংগীপাড়া ও গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে থাকলেও পুনরায় সংঘর্ষের আশংকায় অতিরিক্ত পুলিশ (দাঙ্গা) মোতায়েন করেছেন। এ সময় পুলিশ দশ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে জানাগেছে, গত ১৪ জুন শনিবার বড়বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে মোস্তাক উকিল ও মোঃ খসরু আহম্মেদ প্যানেলের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোস্তাক উকিল ৩৪২ ভোট, সিদ্দিক মোল্লা ২৫১ ভোট, শংকর কুমার বিশ্বাস ২৪৬ ভোট ও মোঃ ফকরুল আলম ২৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। ওই নির্বাচনের জের ধরে গতকাল রোববার মোস্তাক উকিলের সমর্থকরা বড়বাড়িয়া বাজারে রং খেলে। এ সময় খসরু গ্র“পের দু’সমর্থক কুব্বত মোল্লা (৩৫) ও নুরনবী মোল্লা (৩৪) কে এলোপাথারী মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে দু’গ্র“পের মধ্যে আড়াই ঘন্টা ধরে দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাবার বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষে মোস্তাক উকিল গ্র“পের আমিনুর (৪০), গাউস উকিল (৫০), জাকির (৩৫), এছানুর (২০), দবির খান (৫০), দুলাল (৪৫), জাবের (৩২), আবু তালেব শেখ (৬২), বাকিয়ার (২৩), মশিউর (২২) আহত হয়। আহতদের চিতলমারী, টুংগীপাড়া ও গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাগেরহাটের এ,এস,পি রিপন কুমার মোদক, উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শামীম, ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদ পুকুল, চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ দিদারুল আলম, চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার সরকার, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মোহন আলী বিশ্বাস খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।