আজহারুল হক, গফরগাঁও : ঢাকার কামরাঙ্গিরচর থেকে গত শুক্রবার অপহৃত তিন বছরেরর শিশুকে ১৪ জুন শনিবার দুপুরে উদ্ধার গফরগাঁওয়ের পাগলা থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এলাকাবাসীর সহায়তায় পাঁচবাগ ইউনিয়নের আমাটিয়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার বাড়ি থেকে অপহৃত কনা নামের শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় সোহাগ নামে এক অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার কামরাঙ্গিচর এলাকার ব্যবসায়ী জুলহাস মিয়ার বাসায় দীর্ঘদিন যাবত ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছে দিনাজপুর জেলার নাগরী-সাগরী গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া। গত শুক্রবার সকালে সোহাগ মিয়া বাসার মালিক জুলহাস মিয়ার তিন বছরের শিশু কণাকে অপহরণ করে গফরগাঁওয়ের আমাটিয়া গ্রামে তার আত্মীয় সুরুজ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় শিশুর পিতা জুলহাস মিয়া শুক্রবার রাতে সোহাগ ও তার দুই ভাই মাসুদ ও নয়নকে আসামী করে কামরাঙ্গিরচর থানায় একটি অপরহণ মামলা দায়ের করেন। গতকাল শনিবার সকালে পাগলা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এলাকাবাসীর সহায়তায় পাঁচবাগ ইউনিয়নের সুরুজ মিয়ার বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ অপহরণকারী সোহাগ মিয়াকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসে। খবর পেয়ে শিশুর পিতা জুলহাস মিয়া ও মাতা সেলিনা খাতুন বিকেলে পাগলা থানায় উপস্থিত হলে পুলিশ শিশুটিকে তার বাবা-মার কাছে তুলে দেয়। জুলহাস মিয়া বলেন, সোহাগ তার ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীরের সহায়তায় আমার মেয়েকে অপহরণ করে মোবাইলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
গফরগাঁওয়ের পাগলা থানার ওসি বদরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,অপহৃত শিশুটিকে তার বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আটক অপহরণকারী সোহাগকে কামরাঙ্গিরচর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
