আরিফ মাহমুদ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) : ‘৭টি উকিল মরলে একটা দাড় কাক হয়, সাংবাদিক ও পুলিশ চাঁদাবাজি করে, সাংবাদিকরা থানায় দালালি করে ও নেশাগ্রস্থ’- এমনই ঊর্দ্ধতপূর্ণ কথা বললেন কলারোয়া পাবলিক ইন্সটিটিউটের সভাপতি, পৌর ওয়ার্কার্সপার্টির সদস্য ও শেখ আমানুল্লাহ কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল খায়ের। বুধবার সন্ধ্যায় কলারোয়ায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে ‘ঢালাও ভাবে’ উকিল ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এমন নেতিবাচক কথা বলেন তিনি। সাতক্ষীরার এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরের সামনেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকরা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদও জানান। ‘গুটি কয়েক’ ব্যক্তির নেতিবাচক অপকর্মের দায়ভার ‘ঢালাও ভাবে’ ‘সকল’ উকিল বা সাংবাদিকদের উপর চাপানোয় তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কলারোয়া প্রেসক্লাব ও রিপোটার্স ক্লাবের সকল সাংবাদিক। এদিকে, আইনজীবী, সাংবাদিক ও পুলিশকে উদ্দেশ্য করে অধ্যাপক আবুল খায়েরের এমন বক্তব্যের সমালোচনার মুখে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক ও মুখপাত্র মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে দু:খ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি ও আমার দল এ ধরণের বক্তব্যকে কোন ভাবেই সমর্থন করিনা। এ ধরণের বক্তব্যে তিনি ব্যথিত ও মর্মাহত। পরে প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ওপেন হাউজ ডে-তে দেয়া নিজের বক্তব্যের জন্য দূঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন সহকারী অধ্যাপক আবুল খায়ের।
অবশেষে এসপি নির্দেশে বন্ধ হলো কলারোয়ায় সার্কাসের নামে অশ্লীল ড্যান্স, জুয়া ও নেশার আসর

অবশেষে সাতক্ষীরার এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরের নির্দেশে বন্ধ হলো বহুল সমালোচিত সার্কাসের নামে অশ্লীল ড্যান্স, জুয়া ও নেশার আসর। স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নাকের ডগায় যখন অশ্লীল উদ্দীপনা হচ্ছিল তখন রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কেউই কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। তবে বসে থাকলেন না সাতক্ষীরার এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর পিপিএম। গত কয়েক মাস ধরে কলারোয়া উপজেলার বয়ারডাঙ্গা ও সম্প্রতি চলা ধানদিয়া এলাকায় চলা সাকার্স-বিচিত্রানুষ্ঠানের নামে উলঙ্গ ড্যান্স, প্রকাশ্য জুয়া আর নেশার আসর বন্ধের ঘোষনা দিয়েছেন এসপি। বুধবার সন্ধ্যায় কলারোয়ায় অনুষ্ঠিত ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষনা দেন। এদিকে, দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকায় কয়েক দফা এ সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এক রাত ওই সার্কাস বন্ধ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ফের তা চালু হয়। স্থানীয় সংশ্লিষ্টরা তখন কোন উদ্যোগ না নিলেও এসপির কলারোয়ায় আগমনের ঠিক আগের রাত থেকে হঠাৎ-ই ওই ন্যাক্কারজনক আয়োজন বন্ধ হয়ে যায়। তবে এলাকার সাধারণ মানুষের এখনো আশংকা- কয়েকদিন পরে আবারো ওই নিন্দিত নৃত্য, জুয়া ও নেশার আসর পুনরায় চালু হবে না তো??
প্রচন্ড গরম আর তাপদাহের মধ্যে কলারোয়ার জনজীবন অতিষ্ঠ
প্রচন্ড গরম আর তাপদাহের মধ্যে কলারোয়ার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনভর রোদ্রের প্রখরতা, রাতভর ভ্যাপসা গরম আর লাগামহীন বিদ্যুতের লোডশেডিং-এ রীতিমত প্রাণীকুল বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বাড়ছে ওষ্ঠফাটা গরম, বাড়ছে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় দিনের বহু সময়ে থাকছে না বিদ্যুত। রোদের তীব্রতার গরমের সাথে যোগ হওয়া লোডশেডিং-এ অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ডায়রিয়া, আমাশয়সহ গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে কেউ কেউ হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সকলে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছেন গরমের তেজ কমাতে বৃষ্টির প্রত্যাশায়।

কলারোয়ায় প্রায় ২২লাখ টাকার শাড়ি ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার
কলারোয়া সীমান্তে প্রায় ২২লাখ টাকার ভারতীয় উন্নত মানের শাড়ি ও যৌন উত্তেজক এ্যানাগ্রা ট্যাবলেট উদ্ধার করে বিজিবি। বৃহষ্পতিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এগুলো উদ্ধার হলেও কেউ আটক হয়নি। বিজিবি সূত্র জানায়, কাকডাঙ্গা বিওপির বিজিবি সদস্যরা ভাদিয়ালী থেকে ২৬৪পিচ শাড়ি ঝাউডাঙ্গা বিওপির বিশেষ ক্যাম্পের সদস্যরা বোয়ালিয়া মোড় থেকে ৩৭৫পিচ শাড়ি ও চান্দুড়িয়া বিওপির বিজিবি সদস্যরা চান্দুড়িয়া থেকে ৫’শ পিচ এ্যানাগ্রা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মালামালে আনুমানিক মূল্য ২১লাখ ৮৫হাজার টাকা।
কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পিতার ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপনের পিতা ডা.আ.করিম সরদারের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে কেরালকাতা ইউনিয়নের হুলহুলিয়া গ্রামের নিজবাড়িতে এ দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও অনুপ কুমার তালুকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও সেলিনা আনোয়ার ময়না, আ’লীগ নেতা সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু, আরাফাত হোসেন, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান সম মোরশেদ আলী, অধ্যাপক এমএ কালাম, আ.রকিব মোল্যা, ভূট্টোলাল গাইন, শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, প্রভাষক আ.মান্নান, শিক্ষক ও সাংবাদিক দীপক শেঠ প্রমুখ। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালানা করেন মাও.আইয়ুব হোসেন।
কলারোয়া পৌরসভায় উন্মুক্ত বাজেট প্রস্তাবনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
কলারোয়া পৌরসভায় উন্মুক্ত বাজেট প্রস্তাবনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা আহছানিয়া মিশনের ‘আমাদের কলারোয়া প্রকল্প’ ও ওয়াটার এইডের উদ্যোগে বৃহষ্পতিবার সকালে পৌরসভার হলরুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র গাজী আক্তারুল ইসলাম, কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান বুলবুল, মাগফুর রহমান রাজু, ফারহানা হোসেন, সেলিনা বেগম, লুৎফুন্নেছা, সচিব সাইফুল ইসলাম, প্রকৌশলী ওয়াজিহুর রহমান, এনজিও কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, মনিরুজ্জামান মিজান, রাকেশ সাহা প্রমুখ। ওয়ার্ড ভিত্তিক বাজেট চাহিদা উপস্থাপন ও গুরুত্ব বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৪-১৫অর্থবছরের পৌর বাজেটে অন্তর্ভূক্তির জন্য প্রস্তাবনা জানানো হয়।
কলারোয়ার কয়লা ইউনিয়নের বাজেট ঘোষিত
কলারোয়ার ৩নং কয়লা ইউপির ২০১৪-১৫ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব মোল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে বাজেট পেশ করেন সচিব আমিনুর রহমান। এ উপলক্ষ্যে বুধবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য কাজী শাহাদাৎ হোসেন, মোশারফ হোসেন, হাফিজুর রহমান, আকবর হোসেন, কামরুজ্জামান, মুনছুর আলী, মিলন ঘোষ, শহিদুল ইসলাম, আ. ছাত্তার, মোছা. ফিরোজা বেগম, মোছা. ফরিদা বেগম, মোছা. সেলিনা আক্তার প্রমুখ। ঘোষিত বাজেটে আয় ধরা হয়েছে ৫৯ লক্ষ ২০ হাজার ৮শ’১০ টাকা। ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ লাখ ৯৯ হাজার ২১ টাকা। উদ্বৃত্ত থাকার কথা (হস্ত মজুদ) ২৩ হাজার ৭শ’ ৮৯ টাকা।
কলারোয়াকে ৭দিনের মধ্যে মাদক, জুয়া ও দালাল করতে এসপির ঘোষণা
সাতক্ষীরার এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর পিপিএম বলেছেন, আগামী ৭দিনের মধ্যে কলারোয়াকে মাদক, জুয়া ও দালালমুক্ত করবো। দালালমুক্ত থানা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ থেকে যেন থানায় আর কোন দালাল না ঢোকে সেই ব্যবস্থা করবো। কলারোয়ার বয়ারডাঙ্গা ও ধানদিয়ায় সার্কাস-বিচিত্রানুষ্ঠানের নামে অশ্লীল নৃত্য, জুয়া আর মাদকের নেশা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোন নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানীর শিকার হবেন না উল্লেখ করে জেলা পুলিশের এ কর্ণধর বলেন, পুলিশ কোন অপকর্মের হাতিয়ার হবে না। নিজের চরিত্র না দেখে অনেকে অপরের চারিত্রিক সনদ দিয়ে থাকেন। যাদের কারণে জামাতের প্রতি মানুষ ঝোকে তা আমি হতে দেবো না। বুধবার বিকেলে কলারোয়ায় সকল শ্রেণির গণমানুষের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠান ‘ওপেন হাউস ডে’তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর আরো বলেন, অচিরেই ইউনিয়ন পর্যায়ে বিট পুলিশিং স্থাপন করা হবে, যেখানে নিয়মিত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এছাড়া গ্রাম পর্যায় থেকে কার্যকর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠণ করা হবে। প্রত্যেক বাজারে তালাবদ্ধ অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হবে, যার চাবি থাকবে আমার কাছে। দালালদের নামের তালিকা টাঙিয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, অনেক সামান্য সমস্যাগুলো পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সমাধান করতে হবে। সোনার বাংলার দেশ গড়তে পুলিশও শরিক হবে। পুলিশ জনগণের সেবক ও বিপদের বন্ধু শীর্ষক ওই অনুষ্ঠান কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। কলারোয়া থানার ওসি মোফাজ্জেল হোসেন কনকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, ইউনএও অনুপ কুমার তালুকদার ও ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু। উপজেলা পুলিশিং কমিটির সা.সম্পাদক আরাফাত হোসেনের পরিচালনায় বিভিন্ন সমস্যার প্রশ্ন ও পরামর্শ নিয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এমএ ফারুক, ইউপি চেয়ারম্যান সম মোরশেদ আলী ও আ.রকিব মোল্যা, জাপা সভাপতি এম মুনছুর আলী, লিলি খাতুন, অধ্যাপক আবুল খায়ের, মীর আবুল কালাম, শিক্ষক ও সাংবাদিক দীপক শেঠ, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সা.সম্পাদক রাশেদুল হাসান কামরুল, যুগ্ম সা.সম্পাদক প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, প্রভাষক বিএম সিরাজ, মো.আমানুল্যাহ, শিক্ষক রুহুল কুদ্দুস, এবিএম ফিরোজ, মফিজুল ইসলাম লাভলু, প্রবীর কুমার প্রমুখ। এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর এসময় ধৈর্য্য সহকারে সকলের প্রশ্ন শোনেন ও তার উত্তর দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন অধ্যক্ষ মাও.আসাদুজ্জামান ফারুকী।
