মো: শাহ্ জামাল, জামালপুর : জামালপুরের মেলান্দহে একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে টানা ৩দিন যাবৎ টান টান উত্তেজনার এক পর্যায়ে বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, ভাংচুরসহ সভা-সমাবেশ অব্যাহত আছে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দিতে ২প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন, উপজেলা প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
জানাগেছে, ৫/৬টি চরের সমন্বয়ে বৃহত্তর টুপকারচরবাসীর চলাচলের জন্য মেলান্দহ রেলস্টেশন পর্যন্ত একমাত্র রাস্তা নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছিল শাহাজাতপুুর খানপাড়া, প্রতাপঝগড়ীবাসী। এ নিয়ে এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। বিষয়টি সুরাহার জন্য স্থানীয়ভাবে নিস্পতির উদ্যোগ নেয়া হয়। এ নিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়েও সুরাহার উদ্যোগও ভেস্তে যায়। অবশেষে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিজ্ঞ আদালত থেকে রাস্তা নির্মাণে টুপকারচরবাসির পক্ষে রায় আসে।
একপর্যায়ে ৯জুন দিবাগত রাত ৯টার দিকে টুপকারচরবাসী রাস্তা নির্মাণ করে। খবর পেয়ে শাহাজাতপুর, খানপাড়াবাসি টুপকারচরবাসিকে প্রতিহত করতে বাধার সৃষ্টি করে। এ নিয়ে রাতেই উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টা ধাওয়া হয়। টুপকারচরবাসীর কড়াবেষ্টনীর মধ্যে তিন কি:মি: রাস্তার মধ্যে প্রায় দুই কি:মি: রাস্তা নির্মাণ করে ফেলে। এক্ষোভে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাহাজাতপুর-খানপাড়াবাসি সংঘবদ্ধ হয়ে টুপকাচর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আ’লীগ নেতা আবু সাইদের মেলান্দহ রেলস্টেশন সংলগ্ন বাসায় অগ্নি সংযোগ করে। একই সময়ে টুপকাচরের আরো ৪টি ঘর ভাংচুর করে। খবর পেয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাতেই স্টেশন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করে।
পরদিন সকাল ৯টার দিকে উভয় গ্রামের লোক মাইকিং করে ঘোষণা দিয়ে মুখো মুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২২জন আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিনসহ ২প্লাটুন পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। দুুপুরে টুপকারচারবাসি ওই গ্রামের হাই স্কুল মাঠে জমায়েত হয়ে সভা সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-ক্ষতিগ্রস্থ্য টুপকারচর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ, বাবুল ফারাজী, ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আ: মান্নান, রফিক, সাইদ, আ:হাই মেম্বার, ফজলু মেম্বার প্রমুখ। অফিসার ইনচার্জ নাসিমূল ইসলাম জানান-বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
