স্টাফ রিপোর্টার : একটি চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের পর ছিনিয়ে নিয়েছে আসামীর লোকজন। ৯ জুন সোমবার রাতে শেরপুর সদর উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে ওই ঘটনা ঘটে। ওইসময় বাধার মুখে গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে পুলিশের এক এসআইসহ ৫ সদস্যকে রক্তাক্ত জখম করে। অন্যদিকে পুলিশ ১০ রাউন্ড শর্টগানের ফাকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ওই ঘটনায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যসহ ৮০/৯০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার ৭নং চর এলাকার জনৈক আব্দুল মান্নানের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা জামালপুরের ইসলামপুর থানার একটি চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার আসামী হামিদুল ইসলাম প্রধানকে সোমবার রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে ইসলামপুর ও শেরপুর সদর থানা পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের পরপরই ওই বাড়ির লোকজন ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার করে শুরু করলে এলাকাবাসী দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হামলার মুখে কর্তব্যরত পুলিশের দল তাদের পরিচয় দেওয়ার পরও এলাকাবাসী গ্রেফতারকৃত আসামীকে ছিনিয়ে নেয় এবং পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ওইসময় এলাকাবাসী হামলায় এসআই সুনীল কুমার দাস, এএসআই খোকন মিয়া, কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম এবং পুলিশের সঙ্গে থাকা মিজান ও কালাম নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ রাউন্ড শর্টগানের ফাকা গুলি ছুড়ে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ এলাকায় গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই ঘটনায় ইসলামপুর থানার এসআই আবু সাইম বাদী হয়ে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যসহ ৩১ জনকে স্বনামে এবং অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে গ্রেফতারকৃত আসামী ছিনতাই, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা ও অ্যাসল্টের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকাটি অনেকটাই পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।