ইয়ানুর রহমান, যশোর: প্রতিদিন প্রায় ৪কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হয় মিনি’র । তাই আব্বুর কাছে বড়ই আব্দার শহরে একটি বাড়ি করার। একমাত্র মেয়ের আব্দারে বাড়িও করছিল মিনি’র বাবা। কিন্তু সে বাড়িতে থাকা হল না মিনি’র। না ফেরার দেশে শেষ আশ্রয়ের বাড়িতে মিনি’র ঠাই হল।

ট্রেনে কেটে একমাত্র মেয়ে মিনির মৃত্যুর খবর শুনতেই বাবা হাবিবুর বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিল। একটু সঙ্গা ফিরলেই বলছিল, “শহরের বাড়িতে কে থাকবে মা”। মিনি’র বাবা হাবিবুরের আত্মচিৎকারে আগত মানুষের চোখের দু’কোন বেয়ে ঝরছিল অশ্র“। মিনি’র বাবা সকলের মাঝে মেয়েকে বারবার খুজছিল।
মিনির বড় সাধ ছিল শহরের বাড়িতে থেকে লেখা পড়া করবে। ডাক্তার হবে। মানুষের সেবা করবে। তাই বাবা হাবিবুর রহমান গ্রামে বাড়ি থাকতেও নাভারন শহরে মেয়ের চাহিদা অনুযায়ী একটি বাড়ী নির্মান করছিল। প্রায় শেষ পর্যায়ে বাড়ির নির্মান কাজ হলেও সে বাড়িতে থাকা হল না মিনি’র।
শুক্রবার সকাল ১১টায় মিনি’র যানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় মিনি’র গ্রামের বাড়িতে নামে মানুষের ঢল।
এদিকে শনিবার শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শোক দিবস ঘোষনা করেছে শিক্ষা কর্মকর্তা। এদিন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা কালো পতাকা ধারন করবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের নাভারনে ট্রেন-নছিমন সংঘর্ষে ২শিক্ষার্থী নিহত হয়।
অপরদিকে স্কুল ছাত্রী মহুয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং রাত ৯ টায় এবং এর পরপর মহুয়ার দাফন সম্পন্ন হয় পরিবারিক কবরস্থান।
