ads

শনিবার , ৭ জুন ২০১৪ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

কাঁঠালিয়ার শৌলজালিয়ায় খাল খননে পুকুর চুরি

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
জুন ৭, ২০১৪ ১:২৫ অপরাহ্ণ

এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ, ঝালকাঠি : ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় খাল খননের প্রায় ২৬,লক্ষ টাকার পুরোটাই ঠিকাদার,বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরশন কর্তৃপক্ষ ও ইউপি সদস্য সৈয়দ আব্দুল কাইউম এর লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবার খাল খননে পুকুর চুরি হয়েছে। স্থানীয় ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরশন এর কেন্দ্রীয় দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নে আনিচ খলিফার বাড়ির ব্রীজ হইতে রাজেস্বর এর বাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ খাল খননের জন্য ২৫ লাক্ষ,৯৭ হাজার,৭৬০ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও শৌলজালিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সৈয়দ আব্দুল কাইউমের সহায়তায় ৫ লাক্ষ টাকার চুক্তিতে খালের দু,পাশের মাটি ছাটা ও ঝোপঝার পরিস্কার করা হয়েছে। ৫ লাক্ষ টাকার চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকরা কাজ শেষ করলেও তাদের পরিশোধ করা হয় ৩,লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। বাকী ১,লাক্ষ ১০ হাজার টাকার জন্য প্রতিদিন ধরনা ধরছেন ওই শ্রমিকরা। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে বরিশালের মেসার্স মাজেদ এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ কাজটি করছেন। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান মনু মিয়া ইউপি সদস্য আব্দুল কাইউমের সহায়তায় বর্ষা মৌসুমের কিছু দিন পূর্বে এ খালের কিছু অংশের দু,পাড় ছেটে মাত্র ৩,লাক্ষ ৯০ হাজার টাকা ব্যায় করেন। বর্তমানে খালসহ আশেপাশের মাঠঘাটে কানায় কানায় পানি ভরে যাওয়ার সুযোগে খাল খননের কাজ পরিপূর্ন হয়েছে বলে দাবী করেন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর লোক জনের সহায়তায় বাকী টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে যান। মাজেদ এন্টার প্রাইজের ঠিকাদার মনু মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, কাইউম কিছু খারাপ কাজ করেছে, ওর কিছু টাকা আমি আটকে দিয়েছি,খাল খনন এখন ও শেষ হয়নি। খাল এখন পানিতে ভরে গেছে এখন খনন করবেন কিভাবে সাংবাদিক তাকে এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোননজবাব দেননি। তবে তিনি এ সাংবাদিকের সাথে দেখা করার বারবার অগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাজাপুর অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বাসুদেব সরকারের কাছে জানতে চাইলে,তিনি প্রথমে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। পরে তিনি জানান, “ঠিকাদার কাজ করেছেন আরো কাজ করবেন”। বাসুদেব সরকার এ সাংবাদিককে কিছু টাকা ঘূষ দেয়ার জন্যে অনেক ক্ষন ধরপাকর করে ব্যর্থ হন। তবে ওই অফিসের ওয়ার্ক এ্যসিস্টান আব্দুল জলিল ঠিকাদার ও সৈয়দ আব্দুল কাইউমের পক্ষ নিয়ে জানান, “ঠিকাদারের একটি কাজ নিতে হলে অনেক টাকা ঘূষ দিতে হয়,লাক্ষ লাক্ষ টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হয়। এই সব খরচ পোষাবার পরে যে টাকা রয়েছে সে টাকার কাজ হয়েছে”।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!