বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া (গয়াবান্দা) হতে আলতাফনগর ভায়া সাহারপুকুর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও পাকা করা হয়নি।ফলে ওই রাস্তার ওপর দিয়ে যাতায়াত করা ১৬ গ্রামের মানুষের চরম কষ্টের স্বীকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য আনা নেওয়ায় বর্ষা কালে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে,গয়াবান্দা-আলতাফনগর রাস্তাটির পাকা করনের জন্য পূর্বে টেন্ডার হয়েছিল। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধানে মাত্র সোয়া ৪কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের কাজ হয়েছে।
গত চারটি অর্থ বছরে টেন্ডারকৃত নির্ধারিত সোয়া ৪ কিলোমিটার রাস্তার কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ থাকলেও ও তার মধ্যে কিছু অংশ অসম্পূর্ণ রেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি চলে যায়। এখনো কাঁচা রাস্তা রয়েছে সোয় ৮ কিলোমিটার । বর্তমান বর্ষা মৌসুমে রাস্তার পার্শ্ববর্তী গ্রাম তাল্লা, শল্যা, ফেঁপিড়া, নওদাপাড়া, নলঘরিয়া, কঞ্চিগাড়ী, খানপুর, দেবরাশন, মথুরাপুর, খিহালীসহ ১৬টি গ্রামের মানুষ ও তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বেচা কেনার জন্য উপজেলা সদরে সংযোগ সড়কে পৌঁছিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রয়োজনের তাগিদে তারা ওই কাঁচা রাস্তা দিয়ে ধান-চাল সহ অন্যান্য পণ্য সাইকেল-ভ্যানে করে অনেক কষ্টে আনা নেয়া করছে। এদিকে একটু বৃষ্টি হলেই ওই কাঁচা রাস্তায় গর্তে পানি জমে চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়ে।
রাস্তার পার্শ্ববর্তী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের তছলিম উদ্দিন, খানপুর গ্রামের মেরাজুল ইসলাম, বালুকাপাড়া গ্রামের এনামুল হক বলেন, গয়াবান্দা-আলতাফনগর এ রাস্তাটির পাকা করনের কাজ হলে রাস্তা সংলগ্ন প্রায় ১৬টি গ্রামের জনসাধারনের যাতায়াত সহ বিভিন্ন মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে উপকার হবে। শুধু এ উপজেলা সদরেই নয়, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর-আবাদপুকুরেও অত্র এলাকার লোকজন অতিসহজেই যাতায়াত করতে পারবে।
উপজেলার নলগড়িয়া গ্রামের ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি আতোয়ার হোসেন জানান, চাকুরীর সুবাদে শহরে থাকি। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে যাবার কথা মনে হলে অস্বস্তিতে পড়ি। মোটরসাইকেল নিয়ে বর্ষা মৌসুমে যাওয়ায় দূস্কর হয়ে পড়ে।
উপজেলা প্রকৌশলী নূর এ আলম ছিদ্দিকী বলেন, সাবেক সংসদ সদস্যের সময়ে গয়াবান্দা-আলতাফনগর-সাহারপুকুর রাস্তাটির প্রায় সোয়া ৪ কিলোমিটার পাকা করনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্য রাস্তা সংলগ্ন জনসাধারনের গুরুত্ব বিবেচনা করে পাকা করনের প্রস্তাবনা করেছেন। অনুমোদন হলেই পাকা করনের কাজ শুরু হবে।