শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া (খুলনা) : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় যাত্রানুষ্ঠানকে ঘিরে রয়েছে রমরমা আয়োজন। টাকা হলেই মিলবে মাদক, নৃত্যশিল্পীর সান্নিধ্যসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সুযোগ সুবিধা। এ ছাড়া বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাওয়া যাবে ভ্রাম্যমান পতিতাও। তাই ওই অনুষ্টান উপভোগ করতে সরব হয়ে উঠেছে বিপদগামী যুব সমাজ ও অন্যদিকে জুয়ার আসরে সমাগম হবে বাঘা বাঘা জুয়াড়ীদের।
জানা যায়, খুলনার ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা উপজেলার মিলনস্থল কৈয়া বাজারের পাশে ইটভাটা পল্লীতে আয়োজন করা হয়েছে একুশ দিন ব্যাপি যাত্রা আসর। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না মিললেও থেমে নেই আয়োজক কমিটি। ইতোমধ্যেই নির্ধারিত স্থান ঘেরা, জুয়ার আসরে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ছাউনি, ভ্রাম্যমান পতিতাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের পথে। এখন অনুমতি মিললেই শুরু হবে রমরমা যাত্রা মেলা। কুলটি সার্বজনীন পূজা মন্দিরের উন্নয়ন ও প্রতিবন্দ্বি কল্যাণ ফান্ড’র নামে যাত্রা পরিবেশনায় থাকবে চন্দ্রাবতী অপেরা’র দল। তবে যাত্রার নামে এত আয়োজনকে কেন্দ্র করে এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে অজানা শংকা।এ প্রসংগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৈয়া বাজারের ব্যবসায়ী, জিলেরডাঙ্গা, বড়ডাঙ্গা গ্রামের ও ভাটাপল্লীর কয়েকজন বলেন, শুনেছি যাত্রা হবে। তা যাত্রার পাশাপাশি যাবতীয় নেশা-দ্রব্য, সকল ধরনের জুয়ার আসর ও নগ্ন-নৃত্য এসব সমাজ ও সভ্যতা পরিপন্থী অনুষ্টানের আয়োজন করায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই’র আশংকায় আমরা চিন্তায় পড়েছি। তারা উদাহরণ তুলে আরও বলেন, এই দেখেন, রাস্তায় মাছের গাড়ীতে ছিনতাই। অপেরা দলের ম্যানেজার ও আয়োজক কমিটির অন্যতম সমন্বয়কারী খলিলুর রহমান বলেন, যাত্রা মেলায় এখন সবই চলে। যা কিছু হবে তার সব জায়গার অনুমতি নিয়েই করা হবে। ও সব না চালাতে পারলে তো লস হবে। আর কত লস খাব। এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এম মসিউর রহমান বলেন, যাত্রার আযোজন হবে ভাল কথা। কিন্তু এর অন্তরালে অপরাধ মুলক কোন কর্মকান্ড চোখে পড়লে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। গতকাল(সোমবার রাত) যাত্রার অনুমতির আগেই জুয়া বসেছিল। খবর পেয়েই ভেঙ্গে দিয়েছে। খোঁজ খবর নিচ্ছি অতি-রঞ্জিত কোনকিছু শুনলেই সব বন্ধ করে দেওয়া হবে।
