প্রতীক ওমর, বগুড়া : সরকারের কেন্দ্রিয় প্রাণী সম্পদ বিভাগ উদ্ভাবন করেছে সিপিএফ-৩ নামের নতুনজাতের মুরগী। এই মুরগীর বাচ্চা জন্মের পর মাত্র ৪০ দিনেই দেড় কেজি ওজন হবে বলে বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন। আগামী জুন মাসে বগুড়ার বাজারে এ মুরগী পাওয়া যাবে।
বগুড়া সরকারি হাঁস মুরগী খামার সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রিয় প্রাণী সম্পদ বিভাগের বিজ্ঞানীরা ঢাকার মিরপুর হাঁস মুরগী খামারে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে দেশী ও বিদেশী জাতের মুরগীর ক্রস থেকে জন্ম নেওয়া মুরগীর নতুন জাত উদ্ভাবন করেন। বগুড়ার হাঁস মুরগী খামারে ৪০০টি মোরগ-মুরগী রয়েছে। এ মুরগী থেকে ডিম নিয়ে তা বাচ্চা ফুটিয়ে স্থানীয় খামারীদের মাঝে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৪০০ থেকে ৬০০টি মুরগীর বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে। তবে, খামারীদের মাঝে নতুনজাতের এ মুরগী সম্পর্কে এখনো ভাল ধারণা না থাকায় তুলনামূলক কম মুরগী নিচ্ছে। যারা মুরগী সম্পর্কে কিছুটা জানে তারা মুরগীর বাচ্চা সংগ্রহ করে পালন শুরু করেছেন। একদিনের প্রতিটি মুরগীর বাচ্চা বিক্রি করা হচ্ছে ২০ টাকা দরে।
বগুড়া সরকারি হাঁস মুরগী খামারের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম জানান, প্রাণী সম্পদ বিভাগের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত দেশী ও বিদেশী জাতের মুরগীর ক্রস জাতের নাম দেয়া হয়েছে সিপিএফ-৩। এর রং লাল ও সাদা-কালো। বগুড়া খামারের এই জাতের মুরগীর ডিম থেকে বাচ্চা তৈরি হচ্ছে। চলতি মাসের শুরু থেকে এ জাতের বাচ্চা খামারীদের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি জানান, গত অক্টোবর মাসেই বগুড়া সরকারি খামারে বাচ্চা সরবরাহ করা হয়। এই সরকারি খামারে মাত্র ৪০ দিনেই এ মুরগীর ওজন হয়েছে ১ কেজি থেকে দেড় কেজি। প্রতিটি মুরগীর পেছনে ৪০ দিনে খাদ্য (সোয়া কেজি থেকে দেড় কেজি) ও লালন পালন ব্যয় হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। ৪০ দিন পর এক কেজি ওজনের একটি মুরগীর দাম হবে প্রায় ১৫০-১৫৫ টাকা। এর গোশত দেশীয় মুরগীর গোশতের মতোই সুস্বাদু বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও জানান, ব্রয়লার জাতের মুরগী রোষ্ট করা যায় না। কিন্তুসিপিএফ-৩ জাতের মুরগী রোষ্ট করে খাওয়া যায়। স্বাদও দেশীয় জাতের মুরগীর মতই।
