নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা : তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার জনগুরুত্বপূর্ণ মাইকেল সড়কটি ভেঙ্গে চুরে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে জনদূর্ভোগ চরমে ওঠার পাশাপাশি যে কোন মুহুর্তে প্রাণহানির মত মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
সরেজমিন সড়কটির কুমিরা কদমতলা মোড়ে স্থাপিত নাম ফলকে দেখা গেছে, ১৯৮৮ সালে তৎকালীন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ভূইয়া রফিউদ্দীন আহম্মদ মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামানুসারে নামকরণের মাধ্যমে পিচ ঢালাইয়ের উদ্বোধন
করেন। সেই থেকে সড়কটির কয়েক অংশে ভাগ করে প্রতি অর্থ বছরে কাজ সম্পন্ন করা হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ এ মধু সড়কটি দিয়ে সাতক্ষীরা যশোর খুলনার সহ বিভিন্ন অঞ্চলের বাস,মিনিবাস,মালবাহী ট্রাক,প্রাইভেট কার,নসিমন,করিমন,মটর সাইকেল,পিকআপ,ইট বালু ভর্তি ট্রলিসহ বিভিন্ন প্রকার শত শত যানবাহন প্রতিনিয়ত চলাচল করে থাকে। এছাড়া এ অঞ্চলের কৃষক ব্যবসায়ী শ্রমিকদের জীবন জীবিকার অন্বেষন এই সড়কের সাথে জড়িত। ভাঙ্গাচুরা সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল কলেজগামী শত শিক্ষার্থীেেদর যাতায়াত করতে হয়। সচিত্র রিপোর্ট প্রস্তুতকালে দেখা গেছে, সড়কটির অসংখ্য স্থানে পিচ খোয়া উঠে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়ে মরণফাঁদ সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পড়ে মটর সাইকেল,ভ্যান ও বাইসাইকেল ব্যবহারকারীদের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া সড়কটির বেহাল দশায় ট্রাক,পিকআপসহ বিভিন্ন মালবাহি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এদিকে প্রতিনিয়ত স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ দিনভর উৎকন্ঠায় থাকতে হয়। এ অঞ্চলের কৃষকদের কৃষি পণ্য পরিবহনে মাত্র ৪কিঃমিঃ পথ অতিক্রম করে বাজারে পৌছাতে হিমশিম খেতে হয়। অনেকে সময়মত পণ্য বাজারে না পৌছাতে পেরে কম মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। বর্ষার শুরুতে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে চলাচল একেবারেই চরমে উঠেছে। অন্তহীন ভোগান্তিতে এ অঞ্চলের ভূক্তভোগী জনসাধারণ সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তর পূর্বক দ্রুত সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
সুন্দরবনে সাতক্ষীরা রেঞ্জে মুক্তিপনের দাবীতে সাত জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যুরা

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে বনদস্যু খোকা বাবু বাহিনীর সদস্যরা ৭জন জেলেকে মুক্তিপণের দাবীতে অপহরন করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সুন্দরবনের কাটেশ্বর খাল এলাকা থেকে জেলেদের অপহরন করা হয়। বন থেকে ফিরে আসা জেলেরা জানান, মুক্তিপণের দাবীতে সাত জেলেকে আপহরণ করেছে বনদস্যুরা।
অপহৃত জেলেরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখা গ্রামের মৃত জব্বার গাজীর ছেলে বেলায়েত গাজী (৬০), বারী শেখের ছেলে দিপু শেখ (৩৫) ও ডুমুরিয়া গ্রামের নুরু সরদারের ছেলে মনজু সরদার অন্য জেলেদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শ্যাামনগর থানারা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আমিনুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
