তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা : সৌদি আরবের জেদ্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মৌকারা ইউপির গোমকট বানিয়াচৌ গ্রামের মৃত হাবিব উল্লাহর ছেলে আমান উল্লাহ আমানের পরিবার ও স্বজনদের মাঝে শোকের মাতম বইছে। গতকাল সোমবার সরে জমিনে নিহতের শশুর বাড়ী গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।
পারিবাবিক সূত্রে জানা যায়, আমান উল্লাহ ২০০০ সালে চাকুরী উদ্দ্যেশে সৌদি আরবে গমন করে। দীর্ঘদিন তিনি চাকুরী করে তেমন ভাল করতে পারেনি। গত দু’বছর ধরে কমপুদা এলাকায় নিজে দোকান নিয়ে ক্রিড়া সামগ্রীর ব্যবসা শুরু করে। এতে তার দিনকাল ভালই চলছিল। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস গত রবিবার জেদ্দা থেকে দোকানের মাল কিনে কমপুদা ফেরার পথে জেদ্দা নামক স্থানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আমান উল্লাহ সহ তিন জন বাংলাদেশী নিহত হয়। নিহত আমান উল্লাহর স্ত্রী খালেদা আক্তার বলেন, আমান কোরবান ঈদের পর দেশে এসে বাড়ীতে ঘর নির্মান করে তাদের বাড়ীতে নিয়ে যাবার কথা। রবিার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় তার সাথে আমানের শেষ কথা হয়। সে তার স্ত্রীকে বলেন, মালামাল ক্রয় করে সে দোকানে ফিরছে। এর কিছুক্ষণ পরে সংবাদ পান আমান সড়ক দুর্ঘটায় মারা গেছে। আমানের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বাড়ীতে ঘরের সমস্যার কারণে স্ত্রী এক বছর ধরে ২ সন্তান নিয়ে উপজেলার ঢালুয়া ইউপির মকিমপুর গ্রামে তার পিত্রালয়ে বসবাস করছে। ছেলে ফয়সাল (১০) তৃতীয় শ্রেণীতে এবং মেয়ে সুমাইয়া(৫) প্লে ক্লাসে পড়া শুনা করে। তার আর্তনাত এখন তাকে এবং সন্তানদের কে দেখবে? স্বজনদের আর্তনাতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। খালেদা তার স্বামীকে দেশে এনে দাফন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।