দেলোয়ার হোসনে, জামালপুর : হেভিওয়েট মন্ত্রী এমপি ধানুয়া কামালপুর এলসি স্টেশন পরিদর্শনে এলেও ধানুয়া-কামালপুর এলসি স্টেশনে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। এছাড়া প্রতি বছর সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হলেও নানা সমস্যায় জর্জর্রিত জামালপুর জেলার একমাত্র সম্ভাবনাময় বকশীগঞ্জের ধানুয়াকামালপুর এলসি ষ্টেশনে দিকে ফিরেও তাকায়নি কেউ। তাই মাথা তুলে দাড়াঁতে পারছেনা ধানুয়া কামালপুর এলসি স্টেশন।
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়াকামালপুর স্থল বন্দর পুন প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৭ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই বন্দর দিয়ে উন্নত মানের কয়লা ও পাথরসহ নানা পন্য ভারতে আমদানী-রপ্তানী হয়ে আসছে। নানা পণ্য আমদানি-রপ্তানি করে ১৯৯৭-৯৮অর্থ বছরে ধানুয়াকামালপুর এলসি ষ্টেশনে রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ কোটি ২০লাখ টাকা, ১৯৯৮-৯৯ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫কোটি ৫৮ লাখ ১১৯৭৫টাকা, ১৯৯৯-২০০০ অর্থ বছরে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৪৮ লাখ ৩৫৫৯ টাকা, ২০০০-২০০১ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৭৯৭৫৯ টাকা, ২০০১-২০০২ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৫০৫২১ টাকা, ২০০২-২০০৩ অর্থ বছরে আয় হয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ ৯৭২৫ টাকা, ২০০৩ – ২০০৪ অর্থ বছরে আয় হয়েছে ১কোটি ৫৮ লাখ ২০০৮৬ টাকা, ২০০৪-২০০৫ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ৪৯৩২৯ টাকা ও ২০০৫- ২০০৬ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৪ লাখ ৪৭৭৭৬ টাকা , ২০০৬ -২০০৭ অর্থ বছরে আয় হয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার। এভাবে প্রতি বছর ধানুয়াকামালপুর এলসি ষ্টেশন থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় পাচ্ছে । কিন্তু এই বন্দরের উন্নয়নে কোন সরকারেরই সু নজর পড়েনি। ৪৪ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই বন্দরের অফিস ভবন খুবই জরাজীর্ণ। কর্মকর্তা, কর্মচারিদের জন্য কোন আবাসিক ব্যবস্থা নেই। আমদানি-রপ্তানি কৃত মালামাল পরিমাপের কোন যন্ত্র নেই এই বন্দরে। তাই অনুমান করে এই বন্দরে মালামাল আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। এতে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। এই স্থল বন্দরের সড়কটি এখনও পাকা করা হয়নি। ফলে দুই দেশের পরিবহন যাতায়াতে খুবই সমস্যা হয়ে আসছে। এলাকাবাসী এই স্থল বন্দরের মান উন্নয়নে দীর্ঘ দিন যাবৎ ইমিগ্রেশন চালুর দাবি করে আসছে। কিন্তু ইমিগ্রেশন চালু হয়নি। ফলে এই স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা ভারত যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে।
ধানুয়াকামালপুর আমদানি রপ্তানীকারক সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মোকাদ্দেছ রিপন জানান, আওয়ামীলীগ সরকারের প্রভাবশালী দুই মন্ত্রী সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী ড.মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও বর্তমান শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি ও সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আলহাজ আবুল কালাম আজাদ এমপিসহ সরকারের র্শীষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ধানুয়াকামালপুর এলসি স্টেশন পরিদর্শন করেছেন। এবং পরিদর্শনকালে এই বন্দরে ইমিগ্রেশন চালু সহ সকল সমস্যার আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত উন্নয়নের কোন ছোয়া লাগেনি। তাই এলাকাবাসী এই বন্ধরের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।