নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার তালায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি’র (এমএল জনযুদ্ধের) আঞ্চলিক কমান্ডার গফফার পাহাড় (৪০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ও তার সহযোগী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এসময় গুরত্বর আহত হয়েছে দুই পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার দিনগত রাতে উপজেলার মাগুরা এলাকার টেংরার বিলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, চার রাউন্ড গুলি, দুইটি গুলির খোসা, একটি ছুরা ও একটি রাম দা উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের বিরদ্ধে তালা সহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ প্রায় দেড় ডজন মামলা রয়েছে।
নিহত গফফার তালা উপজেলার ডাংঙ্গানলতা গ্রামের আবু পাহাড়ের ছেলে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে নিহতের সহযোগী কাজী সাইফুল ইসলাম (৪২)। গুলিবিদ্ধ সাইফুল দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার সম্পাদক স.ম. আলাউদ্দীন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। এবং সাতক্ষীরা সদরের সুলতানপুর গ্রামের মৃত কাজী আব্দুল অহাবের ছেলে। এছাড়া আহত পুলিশ সদস্যের নাম মহিদুল ইসলাম ও হাফিজ উদ্দীন।
তালা থানার ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানান, মাগুরা এলাকার টেংরার বিলে গফফার ও সাইফুল ইসলাম সহ ১৪-১৫ জন চরমপন্থি নেতা বৈঠক করছে বলে থানায় খবর আসে। রাত দুইটার দিকে পুলিশ ওই এলাকায় রওনা হয়। রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ টেংরার বিল এলাকায় পৌঁছালে চরমপন্থিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে ১৫ মিনিট ধরে গুলিবিনিময় হয়। এরপর চরমপন্থিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে চরমপন্থি কমান্ডার গফফার পাড় ও সাইফুল ইসলামকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদেরকে তালা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্্ের নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক এসময় গফ্ফারকে মৃত ঘোষনা করেন। এবং গুলিবিদ্ধ সাইফুলকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
তালা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের চিকিৎসক (আরএমও) ডাঃ জ্যোর্তিময় সরকার জানান, স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নিয়ে আসার আগেই মারা যান গফ্ফার। আর গুলিবিদ্ধ সাইফুলকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চরমপন্থিরা ১০-১৫ টি গুলি ছুড়েছে। পুলিশও পাল্টা ১০টি গুলি করে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, চার রাউন্ড গুলি, দুইটি গুলির খোসা, একটি ছুরা ও একটি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময থানার দুই কনস্টেবল মহিদুল ইসলাম ও হাফিজ উদ্দীন আহত হয়েছে।
