মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার-বরমচাল সড়কের শ্রীপুর এলাকার গতকাল ২৫মে রবিবার দুপুরে সামাজিক বনায়নের ১৫টি গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।

স্থানিয় সূত্রে জানাযায়, বনবিভাগ কর্তৃক ব্রাহ্মণবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, পল্লীউন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বদরুল হোসেন খান সহ ২০ সদস্যের উপকারভোগীরা ব্রাহ্মণবাজার-শ্রীপুর সড়ক এলাকার ৪ কিঃ মিঃ রাস্থায় সামাজিক বনায়নের জন্য বিভিন্ন প্রজাতির গাছ প্রায় ৮ বছর আগে লাগিয়েছিলেন। গতকাল দুপুর ২টার দিকে এ সড়কের কিছু গাছ দুষ্কৃতিকারীরা কেটে নিয়ে যায় ও ১৫ টি গাছ রাস্তায় কেটে ফেলে য়ায়। গাছ কাটার খবর পেয়ে উপজেলার বনবিভাগের গাজীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রভাত কুসুম আচার্য ঘটনা স্থলে পৌছলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এসময় রেঞ্জ কর্মকর্তা কেটে ফেলা ১৫টি গাছগুলো জব্দ করে গাজীপুর রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে বনবিভাগের গাজীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রভাত কুসুম আচার্য ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে ।এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কুলাউড়ায় বিদ্যুতের ৬ দফা দাবীতে ভূকশিমইলবাসীর স্বারকলিপি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়ন জনস্বার্থ সংরক্ষন সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে মোঃ আমিন উদ্দিন,এনামুল হক, ধীরেন্দ্র প্রান্ত দাশ,আপ্তাব উদ্দিন, আব্দুস ছালাম খান সহ ১১ জন স্বাক্ষরিত স্বারকলিপি গতকাল ২৫মে রবিবার ৬ দফা দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন দফতরে প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ১৫ দিনের মধ্যে দাবী না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
স্বারকলিপির ৬ দফা দাবী গুলো হলো ১) প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের তারিখের কমপক্ষে ৫ দিন পূর্বে গ্রাহকের হাতে বিল পৌছাতে হবে। ২) মিটারের রিডিং দেখে বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করা ও ভূয়া বিল দিয়ে গ্রাহককে প্রতারিত না করা। ৩) নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও লাইনে কাজ করতে হলে কমপক্ষে ৪ ঘন্টা পূর্বে মাইকিং করে জানানো। ৪) অগ্রনী ব্যাংক ভূকশিমইল শাখায় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ব্যাবস্থা করা। কারন কুলাউড়া শহরে একজন গ্রাহকের বিল পরিশোধ করতে আসলে ৭০টাকা পরিবহন খরছ হয়। এছাড়াও মোবাইল ফোনে বিল পরিশোধ করলে হয়রানির শিকার হতে হয়। ৫) ভূকশিমইল নবাবগঞ্জ বাজারে স্থায়ীভাবে একজন লাইনম্যান ও বিদ্যুৎ বিল বিতরনের জন্য কমপক্ষে ২জন লোক নিয়োগ করতে হবে। ৬) জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার করা ও বেশিরভাগ বিদ্যুতের খুটি হেলে পড়ে আছে ও তার ঝুলানো যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এজন্য জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে।