ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার তজুমদ্দিন-মনপুরা নৌ-রুটের একমাত্র সি ট্রাক যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে ১৯ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
এতে বিকল্প ব্যবস্থায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের অভিযোগ, চালু হওয়ার পর কিছু দিন পরপরই বিকল হয়ে পড়েছে সি ট্রাক। যাত্রীরা নূন্যতম সেবা পাচ্ছেন না।
তারা আরো বলেন, সি ট্রাকটি চালু করতে যাত্রীদের পক্ষ থেকে বারবার দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু এটি চালু হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ভোলার মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌ-পথ। এতে অনেক আগে থেকেই মনপুরা-তজুমদ্দিন রুটে সি ট্রাক চলাচল করে আসছে।
অন্য সি ট্রাকের স্থলে চলতি বছরের মার্চ মাসে এ রুটে শেখ জামাল নামে একটি সি ট্রাক চালু করেছে বিআইডব্লিউটিসি। গত ৫ মে মনপুরা থেকে তজুমদ্দিনে যাওয়ার পথে সি ট্রাকটি বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকে সেটি আর চালু হয়নি।
যাত্রী নাছিমা বলেন, সি ট্রাকে করে যাতায়াতে এক ঘণ্টা সময় লাগে। একই পথ ট্রলারে যেতে ২/৩ ঘণ্টা সময় লাগছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি।
হোসেন ও ইমরান বলেন, উত্তাল নদীতে বাধ্য হয়েই আমরা নৌকায় যাতায়াত করছি। সি ট্রাকটি চালু হলে আমাদের এ সমস্যায় পড়তে হতো না।
সালাউদ্দিন বলেন, বর্ষা মৌসুম চলে আসছে। এ সময় যেকোন মুহূর্তে ঝড় হতে পারে। তাই দ্রুত সি ট্রাকটি চালু করা প্রয়োজন। তা না হলে যাত্রীদের জীবন চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
যাত্রী শাহিন বলেন, উত্তাল নদীতে নৌকায় যাতায়াতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া যাত্রীরা প্রচণ্ড রোদে পুড়ছে, বৃষ্টিতে ভিজছে।
প্রতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত নদী ও সাগরের ডেঞ্জার জোনে সি সার্ভে ছাড়া সব ধরনের নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু প্রশাসনের নিয়ম তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে এ রুটে নৌযান চলাচল করছে। এতে নৌ দুর্ঘটনার আশংকা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সি ট্রাক শেখ জামালের মাস্টার আলী আক্কাস সাংবাদিকদের জানান, সি ট্রাকের যান্ত্রিক বিভিন্ন সমস্যা হয়েছে তাই মেরামত করতে সময় লাগছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে মেরামত কাজ শেষ হয়ে সি ট্রাকটি চলাচলের উপযোগী হবে।
মনপুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার চৌধুরী জানান, সি ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা কতৃপক্ষকে জানিয়েছি।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল বাকী বলেন, সি ট্রাকটি চালু করার জন্য বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। দ্রুত এটি চালু হবে বলে জানা গেছে।