মো.সুজন রানা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে জনবল ও চিকিত্সা সরমাঞ্জাদি না থাকার কারণে সাধারণ মানুষ সুচিকিত্সা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরে ২০ শয্যা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক সয়ংক্রিয় হাসপাতালটির শুভ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকে ওই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ডাক্তার-নার্সসহ অন্যান্য কর্মচারীদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়নি। বর্তমানে একজন মেডিকেল এ্যাসিষ্টেন্ট একজন ফার্মাসিষ্ট একজন ওয়ার্ড বয় ও স্থানীয় ৬জন স্বেচ্ছাসেবী দ্বারা হাসাপাতালের আউট ডোর চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন চিকিত্সা সেবা নেওয়ার জন্য রোগীরা হাসপাতালে ছুটে যায় কিন্তু কোন চিকিত্সা সেবা না পেয়ে ব্যার্থ হয়ে ঘুরে আসতে হয় রোগীদের। নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমপ্লেক্সটি উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বিজরুলে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন চিকিত্সা নিতে হিমশিম খেয়ে আসছে। নন্দীগ্রাম উপজেলার ভৌগলিক সীমার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে বিজরুলে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমপ্লেক্স। যা নন্দীগ্রাম উপজেলার সদর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার উত্তরে। বিগত ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে তত্কালিন বগুড়া-৪ আসনের এমপি ডা.জিয়াউল হক মোল¬া নন্দীগ্রাম সদরে ২০ শয্যার অত্যাধুনিক সয়ংক্রিয় হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তত্কালীন প্রধান মন্ত্রী ছেলে তারেক রহমান ওই হাসপাতালটি ভিত্তি স্থাপন করে। হাসপাতালটি ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও সেখানে ডাক্তার-নার্সসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্ব প্রদান নিয়ে বিলম্বতা সৃষ্টি হয়। ওই সময় তত্কালিন এমপি ডা.জিয়াউল হক মোল¬া ও পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান জুয়েল হাসপাতালটি চালু করার জন্য ওপর মহলে ব্যাপক চেষ্টা চালালে প্রাথমিক ভাবে বর্হিবিভাগ চালু করা হয়। সে হাসপাতালের এখনোও পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা হয় নি। যার কারণে নন্দীগ্রাম উপজেলার সাধারণ মানুষ সুচিকিত্সা থেকে বঞ্চিত হয়ে বগুড়া-নাটোরে ছুটে যায় চিকিত্সার জন্য। নন্দীগ্রাম উপজেলায় প্রায় ৩ লাখ মানুষ বসবাস করে। সেখানে অত্যাধুনিক চিকিত্সার ব্যবস্থা না থাকায় রোগ ব্যাধি হলে সুচিকিত্সার জন্য অন্যত্রে ছুটে যেতে হচ্ছে। নন্দীগ্রাম সদরে অবস্থিত ২০ শয্যার অত্যাধুনিক সয়ংক্রিয় হাসপাতালটি পুরোদমে চালু হলে অন্যত্রে আর এত ছুটে যেতে হত না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা.

মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম সদরে অবস্থিত ২০ শয্যার হাসপাতালটি এখন আউট ডোর চিকিত্সা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গভাবে চিকিৎসা প্রদান কার্যক্রম চালুর বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এখন সাধারণ মানুষের প্রশ্ন ওই হাসপাতাল কবে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে। সে দিন মানুষ সুচিকিৎসা পাবে। ওই বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেয়া জরুরি।
