শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় এবার খোদ থানার অভ্যন্তর থেকে চুরি হলো ২টি পালসার মটর সাইকেল। এরমধ্যে একটি হচ্ছে উপজেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা ও অপরটি ছাত্রলীগের সভাপতি বাদশা আলমগীর আলমের। চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়ে থানার ভিতরে রেখেও তাদের মটর সাইকেল দু’টি রক্ষা পায়নি। এ নিয়ে গত এক মাসে এ উপজেলায় ৬টি মটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
আজমল হোসেন মুক্তা ও বাদশা আলম জানান, প্রতিদিনের মতো রাতে একটি ব্লু রংয়ের পালসার মোটর সাইকেল (বাগেহাট ল-১১-০৬৪৪) এবং একটি লাল রংয়ের পালসার মোটরসাইকেল (বাগেরহাট ল-১১-০৯১২) থানার ভিতরে পুলিশের নিজস্ব গ্যারেজে রেখে বাসায় যান। কিন্তু ওই রাতে সেখানে পুলিশের কয়েকটি মোটরসাইকেল থাকলেও তাদের দুটি চুরি হয়। তাদের দাবী, পুলিশের সহযোগীতা ছাড়া থানার গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেল চুরি হওয়া সম্ভব নয়। এব্যাপারে শরনখোলা থানায় পৃথক দুইটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে তারা জানান।
শরণখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ কাজী আঃ সালেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই থানার মধ্যে মোটরসাইকেল রেখে যান তা পহারা দেয়ার দায়ীত্ব পুলিশের নয়। তবে, ওই রাতের ডিউটি অফিসার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ মামুন চুরির বিষয়টি জানেন না বলে জানান। এনিয়ে গত এক মাসে শরনখোলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়টি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে।