জিয়াউর রহমান জিয়া,রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজীবপুর বাজারে ফারুক হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীকে বিনা কারনে মারধোর করার ঘটনায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে ব্যবসায়ীরা। ২০ মে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজীবপুর বাজার বনিক সমিতির উদ্যোগে ব্যবসায়িরা ওই বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইউএনও’র বাস ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। এর এক পর্যায়ে থানা মোড় চত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে ওই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার এবং ইউএনও’কে অপসারণের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, ইউএনও আব্দুল লতিফ খান ওই সময়ে রাজীবপুর বাজারের তরিতরকারি হাটে কেনাকাটা করছিলেন। এ সময়ে ইউএনও’র কাছ দিয়ে চাল ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন হেটে যাচ্ছিলেন আর ধূমপান করছিলেন। হঠাৎ ইউএনও ওই ফারুক হোসেনকে ডেকে কাছে নিয়ে এলোপাথারি চর-থাপ্পর মারতে থাকে। এসময় হাটের মানুষজন জড়ো হলে ইউএনও কৌশলে সরে যায়। ফারুক হোসেন রাজীবপুর বাজারের একজন ধানচাল ব্যবসায়ী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি ইউএনও স্যারকে ভালো করে চিনিও না। হঠাৎ করে আমাকে ডেকে কাছে নিয়ে এলোপাথারি ভাবে চর-থাপ্পর মারতে থাকে।
এ ঘটনা বাজারে ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাজার প্রদক্ষিণ করে ইউএনও’র বাস ভবন ঘেরাও করে। এসময় ইউএনও বাসভবনে ছিলেন না। প্রায় ৩০ মিনিট ইউএনও’র বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করার পর থানা মোড় চত্ত্বরে এক সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী সামান আলী, রোস্তম মাহমুদ, মুরাদ জং, মোনাহার হোসেন ও লুত্ফর রহমান প্রমুখ। ব্যবসায়ীরা সমাবেশে ঘোষণা দেন আগামী দুই দিনের মধ্যে ইউএনও সাহেব যদি ওই ঘটনার সমাধান না করেন তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে রাজীবপুর ইউএনও আব্দুল লতিফ খানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওটা মিথ্যা। গুজব। ওই সময়ে বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত দেওয়া হয়েছিল। বিক্ষোভ মিছিল ও বাসভবন ঘেরাও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বাসায় ছিলাম না। তবে শুনেছি কিছু লোকজন মিছিল করে আমার বাসায় গিয়েছিল।
