প্রতীক ওমর, বগুড়া : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনে গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পরেছে।
৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় স্থানীয় এমপির নির্বাচনী ওয়াদার বাস্তবতা না হওয়ায় এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
গত এক মাস ধরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তবে এখনো পানি বিপদ সীমার অনেক নীচে থাকলেও সারিয়াকান্দি উপজেলার দক্ষিণের যমুনা পাড়ের গ্রামগুলোয় হটাৎ ব্যপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গন প্রবণ গ্রামগুলো হলো ধলিরকান্দি, নিজ কর্ণিবাড়ী, কাশিয়াহাটা, আটাচর, তালুকদার পাড়া, চন্দনবাইশা, চন্দনবাইশা খেয়াঘাট এলাকা, রৌহদহ, কামালপুর ও দড়িপাড়া। এসব গ্রামের নদী ভাঙ্গনে শতাধীক পরিবার গৃহহীন হয়ে নব নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ী বাঁধ, এলজিইডির উঁচু রাস্তা, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও গৃহহনীন অনেক পরিবার ঘর-বাড়ি, গরু-ছাগল ও অন্যান্য আসবাবপত্র নিয়ে ট্রাক বোঝাই করে গত রোববার দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেখা যায়। যমুনার পাড়ের হাজার হাজার মানুষ এখন ভাঙ্গনের অজানা আতঙ্কে ভুগছে। গত মঙ্গলবার চন্দনবাইশা খেয়া ঘাট এলাকায় ভাঙ্গনের ছবি তোলার পর স্থানীয়দের সাথে ভাঙ্গনের খোঁজ-খবর নেয়ার সময় ভাঙ্গনে আতঙ্কগ্রস্থ ও গৃহহীন পরিবারের মুক্তিযোদ্ধা দুদু প্রামানিক রফিকুল ইসলাম (৬০), রুটি ও চায়ের দোকানী ফুলি বেগম (৫০) বলেন ৫-৬ বছর পূর্বে দেশে এমপি ভোটের সময় আমাদের এলাকায় জনসভায় আওয়ামীলীগের আব্দুল মান্নান এমপি বলেছিলেন, “আমি নির্বাচিত হতে পারলে চন্দনবাইশা ও কামালপুর এলাকার এক ইঞ্চি মাটিও যমুনার গর্ভে যেতে দেবনা।” মর্মে ওয়াদা দিয়েছিলেন। কিন্তু সে ওয়াদার কোন বাস্থবতা না থাকায় চন্দনবাইশা হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, মসজিদ-মন্দিরে মুখোর জনপদ সম্প্রতি নদীর ভাঙ্গনের সেখানে আজ অথৈই পানি। ভাঙ্গন নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগিয় প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান ঐ এলাকায় হাইড্রলিক সার্ভের মাধ্যমে দেখা গেছে চলতি বছর ভাঙ্গন অব্যহত থাকবে। তবে সেখানে জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাছ করা হবে। আগামীতে এলাকায় স্থায়ী ভাঙ্গন প্রতিরোধে আমাদের দৌঁড়-ঝাঁপ অব্যহত আছে।
