আমতলী (বরগুনা)প্রতিনিধি : বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ২৯ টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৮ টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে। জোর পূর্বক ব্যালট পেপারে সিলা মারার অভিযোগে গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করায় কাউকেই নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়নি। তবে ২৮ টি কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ি আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু ৩২ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধা পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৭৫ ভোট। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ তালুকদার পেয়েছেন ৮১৫ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান ১৩ হাজার ১৭৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগ সমর্থিত আলম কবির পেয়েছেন, ১০ হাজার ৫৯০ ভোট। বিএনপি সমর্থিত মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক পেয়েছেন, ৭ হাজার ১৯ ভোট। অপর প্রার্থী আফজাল হোসেন ৬ হাজার ২৩৫, আনোয়ার হোসেন ২ হাজার ১৯৭ ভোট ও আবদুল জলিল শরীফ ৮৯০ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদা আক্তার ২৭ হাজার ২৪৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামীলীগ সমর্থিত দেলোয়ারা হামিদ পেয়েছেন, ১০ হাজার ৬৯৫ ভোট। আওয়ামীলীগের আরেকজন বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুন নাহার সাথী ১ হাজার ৮৬৬ ও বিএনপি সমর্থিত ইরানী বেগম ৭৬০ ভোট পেয়েছেন। ভোট কেন্দ্র দখল করে সিল মারার অভিযোগে গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। সেখানে মোট ভোটার হচ্ছে ১ হাজার ৮৬২ জন। তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার কাজী তোফায়েল হোসেন জানান, স্থগিত কেন্দ্রের ভোটের চেয়ে বেশী ভোটে এগিয়ে থাকায় উপরোল্লিখিত প্রার্থীরা নির্বাচিত হলেও আইনী জটিলতার কারনে তাদেরকে নির্বাচিত ঘোষনা করা যাচ্ছেনা। বরগুনা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলী জানান, ভোটের ফলাফল নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তের পরে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনা করা হবে।
অপরদিকে তালতলী উপজেলা নির্বাচন চলাকালে গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট কাটায় বাধা প্রদান না করায় পাথরঘাটা থানার এসআই মাহাবুবকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরগুনা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলী জানান, দুর্বৃত্তরা ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারলেও এসআই মাহবুবের বিরুদ্ধে নিরব ভূমিকা পালনের অভিযোগ রয়েছে। যে কারনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বরগুনা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
