হাফিজার রহমান আদমদীঘি (বগুড়া) : রক্ষনাবেক্ষনের পরিচর্যার অভাব সহ খেলা ধুলার আয়োজন না থাকায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার আধুনিক স্টেডিয়াম এখন অপরিচ্ছন্ন গো-চারন ভুমি ও অনৈতিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিনত হয়েছে। স্টেডিয়ামটি কালের স্বাক্ষী হয়ে রয়েছে। এদিকে স্টেডিয়ামের দায়িত্ব ও কতৃত্ব নিয়ে প্রায় ১৩ বছর ধরে আদমদীঘি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ও সান্তাহার পৌর ক্রীয়া সংস্থার মধ্যে রশি টানাটানি চলছে । এই দীর্ঘ সময়ে খেলাধুলা সহ কোন ভাবে ব্যবহার না করার কারনে স্টেডিয়ামটির এখন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত ১৯৯৬ সালে সারা দেশে ৩ উপজেলায় আধুনিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। প্রায় ৬ একর জমির উপর প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯৮০ সালে প্রথমে নির্মাণ করা হয় সান্তাহার পৌর এলাকায় এই ‘আধুনিক’ স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামে পূর্নাঙ্গ প্যাভেলিয়ন নির্মান সহ ১ হাজার ৩ শত ধারন ক্ষমতার গ্যালারী করা হলেও টিকিট কাউন্টার ও পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মান করা হয়নি। এই আধুনিক স্টেডিয়ামের নানা সমস্যা থাকা সত্বেও সান্তাহার পৌর ক্রীড়া সংস্থা মাঝে মধ্যে ফুটবল খেলা ও মেলার আয়োজন করে আসছিল। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইনে পৌর ক্রীড়া সংস্থার কোন বিধান না থাকার কারনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় খেলাধুলা সহ সকল কর্মকান্ড। এমতাবস্থায় পৌর ক্রীড়া সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ স্টেডিয়ামের দায়িত্ব সান্তাহার পৌরসভার নিকট হস্তান্তর করার জন্য আদমদীঘি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাকে পত্র দেন। স্টেডিয়াম আবু সাইদ নামের এক কর্মচারী রয়েছে সে প্রায় এক যুগের বেশী সময় ধরে কোন বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবতেন জীবন-যাপন করছে বলে তিনি জানান।
বর্তমানে এই আধুনিক স্টেডিয়াম রক্ষনাবেক্ষনের ও পরিচর্যার অভাবে আগাছায় পরিপূর্ন রয়েছে। খেলা ধুলার কোন পরিবেশ নেই। দিনের বেলায় গবাদি পশুর বিচরন ও রাতের আঁধারে মাদক সেবীদের আস্তানা ও অনৈতিক কার্যকলাপ চলে আসছে বলে এলাকাবাসী জানায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন জানান স্টেডিয়ামটি বর্তমানে জাতীয় ক্রীয়া পরিষদের অধিনে রয়েছে। এলাকার ক্রীড়ামোদী মহল ও ক্রীড়াবিদরা আধুনিক স্টেডিয়ামের নানাবিধ সমস্যা নিরশন সহ সচল করে খেলা ধুলার পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্ঠি কামনা করেছেন।