রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : রামগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুতের দাবীতে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে টানা দুপুর ২টা পর্যন্ত রামগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্দ গ্রাহকরা। এ সময় বালুয়া চৌমুহনী বাজার থেকে কচুয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে। এতে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক থেকে গাছের গুড়ি সরিয়ে অবরোধ তুলে দেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করলেও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমস্যা সমাধানের কোনও আশ্বাস পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

্ওই সড়কে গাড়ী চলাচল করতে না পারায় যাত্রীসহ সাধারনের চলাচলে চরম দূর্ভোগ দেখা দেয়। দুপুরের তপ্ত রোদের কারনে অনেক মহিলা ও শিশু যাত্রীরা পায়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে পৌছতে দেখা গেছে। স্থানীয় গ্রামবাসী আবুল হোসেন, ছৈয়দ আহম্মদ,মনোয়ার হোসেন,আবুল কালাম ও আবদুল মতিন জানান, গত ১ সপ্তাহে ওই এলাকায় কয়েক ঘন্টাও বিদ্যুৎ ছিল না। সামান্য বাতাশ ও আকাশে মেঘ জমলেই নাকি বিদ্যুৎ ভয় পেয়ে বিদ্যুৎ তার থেকে বিছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎ গতিতে অজানা দেশে চলে যায়। ২দিন অপেক্ষার পরও চলে যাওয়া বিদ্যুৎ আসা বিক্ষুদ্ধ গ্রাহকরা
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পযর্ন্ত বিদ্যুতের দাবীতে রামগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলেও রামগঞ্জের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কোন লোক ঘটনাস্থলে গিয়ে সাধারন বিক্ষুদ্ধ গ্রাহকদের বিদ্যুতের ব্যাপারে কোন আশ্বাস না দেয়ায় দুপুর ২টার দিকে অবরোধকারী নিজেরাই অবরোধ তুলে নেন। এসময় তারা জানান, ঘন ঘন লোডসেডিং হলে অথবা নিয়মিত বিদ্যুৎ না পেলে আবারো সড়ক অবরোধ ও বিদ্যুৎ অফিসসহ জনপ্রতিনিধিদের অফিস ঘেরাও করা হবে।
রামগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু
রামগঞ্জ উপজেলা ইছাপুর ইউপির শ্রীরামপুর গ্রামে হাতুরিয়া বাড়ির বিল্লাল হোসেনের মেয়ে জান্নাত জাহান নামের (৮) এক শিশু বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝড়ের সময় আম কুড়াতে বাগানে গেলে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রচন্ড-ঝড়ের সময় ইছাপুর ইউপির শ্রীরামপুর গ্রামের হাতুরিয়া বাড়ীর বিলালের মেয়ে জান্নাত জাহান আম কুড়াতে বাগানে গেলে হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাতে সে মারা যায়।
