প্বগুড়া প্রতিনিধি : দীর্ঘ তিন বছর ধরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের দক্ষিণে র্¦ জরুরী বিভাগের সামনের গেট বন্ধ থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালের কর্মচারীদের সাথে দক্ষিণ গেটের সামনের ব্যবসায়িদের দ্ব›েদ্বর জের ধরে গত তিন বছর আগে এই গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। এর পর থেকে মেডিকেল কলেজের গেট দিয়েই রোগী, চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা এবং সাধারন জনগন যাতায়াত করে আসছে।
স¤প্রতি মেডিকেল কলেজে একাধিকবার চুরির ঘটনায় শিক্ষার্থীরা দক্ষিণের গেট খুলে দেয়াসহ বিভিন্ন দাবীতে আন্দোলন শুরু করে। ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ২০ এপ্রিল একডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে দক্ষিণ পার্শ্বের গেট খুলে দেয়া সহ ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন ১২ মে পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করেন। এরমধ্যে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু দাবী বাস্তবায়ন করা হলেও এখন পর্যন্ত দক্ষিণ পার্শ্বের গেট খুলে দেয়া হয়নি। একটি সুত্রে জানাগেছে হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীরদের চাপের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই গেট খোলা হচ্ছেনা। উত্তর পার্শ্বের গেটের সামনে গড়ে ওঠা ব্যবসায়িদের সাথে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কমিশন বাণিজ্য রয়েছে। দক্ষিণ পার্শ্বের গেট খুলে দেয়া হলে উত্তর পার্শ্বের গেটের সামনের ব্যবসা ধ্বস নামবে। একারনে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা ওই গেট খুলতে দিচ্ছেনা বলে বলে অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিন পার্শ্বের গেট খুলে দেয়ার ব্যাপারে শিক্ষার্থীরাও তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। গেট খুলে দেয়ার দাবীসহ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২০ এপ্রিল একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর গেট খুলে না দেয়ার ব্যাপারে তাদেরকে কর্মচারীরা ম্যানেজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শজিমেক হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো: মোফাজ্জল হোসেন ডালিম জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ পার্শ্বের গেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এব্যাপারে হাসপাতাল প্রশাসনের সাথে গত ১০ মে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। হাসপাতালের পরিচালক না থাকায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। এছাড়াও তিনি আরো জানান দক্ষিণ পার্শ্বের গেট বন্ধ থাকায় কর্মচারীদের কোন স্বার্থ নেই। শিক্ষার্থীদের পক্ষে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ইন্টানী চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ বাহাদুর জানান একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্তের পর তাদের বেশ কয়েকটি দাবী বাস্তবায়ন হয়েছে। হাসপাতাল এবং কলেজের মাঝে প্রাচীর নির্মান করা হলেও তাদের সব দাবী বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি জানান। দক্ষিণ পার্শ্বের গেট বন্ধ কিম্বা খোলা নিয়ে তাদের কোন অভিযোগ নেই। শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ কামাল পাশা জানান,হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের বৈঠকে চুলচেরা বিশ্লোষনের পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কোন গেট খোলা রাখা হবে কিংবা বন্ধ করা হবে। তবে যা করা হোক তা অবশ্যই হবে হাসপাতাল ও হাসপাতালে আসা রোগীদের স্বার্থে । তিনি বলেন আমরা কোন ছাত্রের দাবীর প্রেক্ষিতে দরজা বন্ধ করা কিংবা খুলবোন।
