শেরপুর প্রতিনিধি : গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে সার কম লাগে, ধানের ক্ষেতে আগাছা ও পোকা মাকড়ের আক্রমণও কম হয়, ফলনও বাড়ে। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা এলাকায় ১৪ মে বুধবার গুটি ইউরিয়া প্রদর্শনী প্লটের শস্য কর্তন ও মাঠ দিবসের এক কৃষক সমাবেশে কৃষি বিশষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
মাঠ দিবসে ওই এলাকার কৃষক হেজবুল্লাহ মিয়ার প্রদর্শনী প্লটের বিআর-২৯ জাতের ধান কাটা হয়। এতে গুড়া ইউরিয়া ব্যবহারে যেখানে একর প্রতি ফলন হয়েছে ৭৬ মণ সেই একই একই জমিতে গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে ফলন মিলেছে প্রতি একরে ৮১ মণ ধান। তাছাড়া গুটি ইউরিয়ার জমিতে কোন আগাছা হয়নি। মাত্র একবার সার দিতে হয়েছে। পোকামাকড়ের আক্রমনও ছিলোনা।
আইএফডিসির সহায়তায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ প্রকল্প-আপি এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে। এতে ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কোরবান আলী প্রধান অতিথি এবং আইএফডিসি প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ আবুল হোসেন মোল্লা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আমিরুজ্জামান লেবু, এফএমও কৃষ্ণ গোপাল বিশ্বাস, এসএএও মজিবর রহমান প্রমুখ। এ শস্যকর্তন মাঠ দিবসে এলাকার শতাধিক কৃষক-কৃষানী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তিনজন আদর্শ কৃষককে আইএফডিসির পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়।
