টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স সখীপুর শাখার ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম খান (৪৫) অপহরনের দীর্ঘ ছয়মাস পর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করার পর গ্রামের বাড়ীতে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় লাশ দাফন সর্ম্পূন হয়েছে। এদিকে স্বজনদের আহাজারীতে পুরো এলাকা আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায়।
জানাযায় , সোমবার রাতে উপজেলার কালিয়ানের নখিল বিলের মাটির নীচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। সাইফুলের লাশ কালিহাতী উপজেলার আগচারান গ্রামে নিয়ে আসলে অল্প সময়ের মধ্যে শত শত লোকের ভীড় জমায় এক নজর দেখার জন্য। ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম খান এর অকাল খুন হওয়াটা এলাকাবাসী সহজেই মেনে নিতে পারেনী।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিকেলে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরন হয় সাইফুল ইসলাম। পরে রাতে সাইফুলের স্ত্রী ফেরদৌসি সখীপুর থানায় প্রথমে একটি জিডি ও পরে অপহরন মামলা করেন। এর পর থেকে পুলিশ অপহৃত সাইফুলকে উদ্ধারের জন্য তৎপর শুরু করে। পরে রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপহরনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা কালিয়ান গ্রামের আশরাফ হোসেনকে সিলেটের জাফলং থেকে গ্রেফকার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সখীপুর থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে আশরাফ স্বীকার করেন অপহৃত সাইফুলকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সখীপুর উপজেলার কালিয়ানের নখিল বিলে মাটির নিচে বস্তাবন্দি করে পূতে রাখা হয়েছে। সোমবার দুপুরে পুলিশ আশরাফের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সেখানে তলাশী চালিয়ে মাটির নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে শখিপুর থানায় নিয়ে যায়। পরে পোষ্টমোডাম করার পর কালিহাতী উপজেলার আগচারান তার গ্রামের বাড়ী নিয়ে আসে। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় লাশ দাফন সর্ম্পূন হয়েছে। এদিকে স্বজনদের আহাজারীতে পুরো এলাকা আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায়। উলেখ্য গ্রেফতারকৃত আসামীর জবান বন্ধি অনুযায়ী খুনের সাথে আরো দুই জন জড়িত আছে। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী ও স্বজন মিজানুর রহমান মিজান জানান, খুনী তিন আসামীকে খুজে গ্রেফতার করে ও আইনের আওতায় এনে তাদের ফাশিঁর দাবি জানান।
